এক্সপ্লোর
Advertisement
করোনা উপসর্গ নিয়েই বিয়ে, মৃত্যু পাত্রের, বিহারে বিয়েবাড়ি থেকে ছড়াল সংক্রমণ, আক্রান্ত শতাধিক
বরের ছিল প্রবল জ্বর। সেই অসুস্থতা নিয়েই বিয়ে করতে এসেছিলেন তিনি। বিয়ের দুই দিন পরেই মারা যান তিনি। এরপর কোনও পরীক্ষা না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর।
পটনা: বরের ছিল প্রবল জ্বর। সেই অসুস্থতা নিয়েই বিয়ে করতে এসেছিলেন তিনি। বিয়ের দুই দিন পরেই মারা যান তিনি। এরপর কোনও পরীক্ষা না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর। প্রায় ১৫ দিন আগের এই ঘটনা বিহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সবচেয়ে বড় শৃঙ্খল হয়ে উঠেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।
পটনা জেলার পালিগঞ্জ মহকুমায় এই বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে কন্টাক্ট ট্রেসিং সূত্রে সাড়ে তিনশর বেশি ব্যক্তির টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। যে পঞ্চাশ জন আত্মীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের রোগ সংক্রমণের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাঁরা অন্যান্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা বলেছেন, বর ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি গুরুগ্রামে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের জন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাড়িতে ফিরেছিলেন। তিলক অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পর তাঁর মধ্যে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। গত ১৫ জুন ছিল বিয়ের দিন। সেদিন তাঁর প্রবল জ্বর আসে। বিয়ে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ির লোকেদের অনুরোধে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান পালন করেন।
গত ১৭ জুন তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাড়ির লোকজন পটনা এইমসে নিয়ে আসেন। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এরইমধ্যে কোনও একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করে সমগ্র ঘটনার কথা জানান। এরপর গত ১৯ জুন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানকারী মৃতের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রোগের সংক্রমণ রোধের জন্য গত ২৪-২৬ জুন যেখানে বিয়ে হয়েছিল সেই গ্রামে বিশেষ শিবির তৈরি করা হয়। সেখানে ৩৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এভাবে এত বেশি আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যাঁদের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে, তাঁদের প্রায় সবাই উপসর্গহীন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের বিহটা ও ফুলওয়িশরিফে আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক চিরঞ্জীব পান্ডে বলেছেন, মীঠা কুঁয়া, খাগারি মহল্লা ও পালিগঞ্জ বাজারের একাংশ জীবাণুমুক্ত করণের পর সিল করে দেওয়া হয়েছে।
বিহারে পটনা জেলায় করোনার প্রভাব রাজ্যে সবচেয়ে বেশি। এখনও পর্যন্ত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৯। মৃত্যের সংখ্যা ৫। প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুসারে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭২। সোমবার রাজ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি ৩৯৪ সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে ২০ শতাংশই পটনার। পালিগঞ্জ থেকেই ৮০ সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
শিক্ষা
Advertisement