এক্সপ্লোর
Advertisement
‘মোদির নাম হবে, তাই একটি রাজ্য চালু করেনি কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প’, বারাণসীর সভায় প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় তৃণমূল?
বারাণসীতে হাইওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বারাণসীর সভায় তাঁর একটি মন্তব্যের পর জল্পনা চলছে, তিনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে মোদির নজরে বাংলা।
বারাণসী: বারাণসীতে হাইওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে নাম না করে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বারাণসীর সভায় তাঁর একটি মন্তব্যের পর জল্পনা চলছে, তিনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করলনে? অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একটি রাজ্য এখনও কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেনি। মোদির নাম হবে, তাই ১টি রাজ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করেনি। আমরা ক্ষমতায় এলে কৃষকদের কাছে টাকা পৌঁছে দেব।’
এভাবে নাম না করে তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল তাঁর মাসিক মন কি বাত অনুষ্ঠানেও বাংলার এক অখ্যাত কবির কবি মনোমোহন বসুর কবিতার কয়েকটি পংক্তি উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। ইংরেজ শাসনধীন ভারতে বিদেশি পণ্য বর্জনের ডাক লেখা মনোমোহনের কবিতার কয়েক ছত্র পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দিতে তর্জমা করে স্বদেশি পণ্য কেনার জন্য আর্জি জানান।
তাঁর আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে মোদি বাঙালি কবির লেখা ব্যবহার করে বাঙালি ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।
এদিন বারাণসীতে তিনি বলেন, যাঁরা বছরের পর বছরের কৃষকদের প্রতারণা করে এসেছেন, তাঁরাই নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। অথচ নতুন আইনি কৃষকদের নয়া বিকল্প ও আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যে কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু না হওয়ায়...সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল। এরপরই নবান্নের তরফে জানানো হয়, ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করতে কোনও অসুবিধা নেই। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, চাষিদের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছে। তাতে কৃষকদের বছরে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ১৮ থেকে ৬০ বছয় বয়সী কৃষক বা ক্ষেতমজুর মারা গেলে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় মৃতের পরিবারকে। এছাড়াও শস্যবিমা যোজনারও ১০০ শতাংশ টাকা রাজ্যই দেয়।
এরপরও কেন্দ্রের কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রকে প্রকল্পের গোটা টাকাটা রাজ্যকে পাঠাতে হবে। রাজ্য তার মেশিনারি দিয়ে সেই টাকা উপভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দেবে।
সবমিলিয়ে ভোটের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে বাড়ছে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
খবর
Advertisement