(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
করোনা আবহে চাকরিটা গেছে, উৎখাত ভাড়াবাড়ি থেকে, ১৮০০ কিমি স্কুটার চালিয়ে মুম্বই থেকে জামশেদপুরে পরিবারে ফিরলেন মহিলা
সোনিয়ার স্বামী হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। গত দু বছর তিনি কোনও কাজ করতে পারেননি। তাই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সোনিয়ারই কাঁধে।
নয়াদিল্লি: কোভিডে-১৯ এর ফলে আর্থিক বিপর্যয়ের আবহে মুম্বইয়ে চাকরি খুইয়েছেন সোনিয়া দাস। ভাড়া দিতে না পারায় বের করে দেওয়া হয়েছে ভাড়াবাড়ি থেকে। এখন উপায়? সাহস থাকলে উপায়ও মিলে যায়। ব্যাগ গুছিয়ে, বান্ধবী সাবিও বানোকে পিছনে বসিয়ে স্কুটারে স্টার্ট দিলেন সোনিয়া। দু চাকায় ১৮০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মুম্বই থেকে ফিরলেন জামশেদপুর।
করোনা মহামারী দেশ তথা গোটা বিশ্বের বহু মানুষের জীবনটাই বদলে দিয়েছে। কী করবেন, কোথায় যাবেন, এই কিংকর্তব্যবিমূঢ়তায় থতমত খেয়ে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। যেমন এই সোনিয়া। জামশেদপুরে নিজের পরিবারের লোকদের ছেড়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন মুম্বই। প্রায় হাজার দুয়েক কিলোমিটার পথ স্কুটারে পেরিয়ে ফিরেছেন বাড়ি। তাঁর সঙ্গেই ভাগ করে সমান তালে স্কুটার চালিয়েছেন তাঁর বন্ধু সাবিও বানো। ফিরে বেশ খানিকটা দূর থেকে দেখতে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। তারপর ঢুকে যেতে হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে।
কোভিড টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট আসার পর এখন অবশ্য ছেলে ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে দূর থেকে হলেও কথা বলার সুযোগ মিলেছে। চার দিন ধরে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন সোনিয়া আর সাবিও। একাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্য পেরিয়েছেন দুই মহিলা। বার দশেক পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়েছেন তেল ভরার জন্য। তিন বার থেমেছেন ধাবায়। সোনিয়ার স্বামী হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। গত দু বছর তিনি কোনও কাজ করতে পারেননি। তাই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সোনিয়ারই কাঁধে। জামশেদপুর-মুম্বই তাঁকে যাতায়াত করতে হয়েছে মাঝে। কাজের জন্যই গত ফেব্রুয়ারি তিনি মুম্বই যান। ২০ মার্চ তাঁর ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আটকে পড়েন লকডাউনের কারণে।