SEBI: মারাত্মক সব অভিযোগ, নিষ্পত্তি হল না একটিরও! SEBI-র রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে SEBI জানিয়েছে, ২৪টির মধ্যে ২২টি অভিযোগ তদন্ত করেছে দেখেছে তারা। বাকি দু’টির তদন্ত মাঝপথে রয়েছে।
নয়াদিল্লি: শেয়ার দর থেকে লেনদেন, শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) ব্যাপক কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তেমন কিছুই তাদের হাতে আসেনি, যেটুকু যা মিলেছে, তা অমীমাংসিত বলে স্টেটাস রিপোর্টে দাবি করল সিকিওরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)। শেয়ারে কারচুপি সংক্রান্ত ২৪টি অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পেয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মার্চ মাস থেকে সেই নিয়ে তদন্ত চলছিল। সম্প্রতি ১৫ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে SEBI. কিন্তু কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে তারা।
সুপ্রিম কোর্টে SEBI জানিয়েছে, ২৪টির মধ্যে ২২টি অভিযোগ তদন্ত করেছে দেখেছে তারা। বাকি দু’টির তদন্ত মাঝপথে রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র মিলেছে। তবে বাইরের কিছু সংস্থার কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া বাকি। সব কিছু হাতে এলে, তবেই বিশদ রিপোর্ট দিতে পারবে তারা। আগামী ২৯ অগাস্ট এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ((Supreme Court))
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারে যে কারচুপির অভিযোগ এনেছে হিন্ডেনবার্গ সংস্থা, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল- ১৯৫৭ সালের সিকিওরিটি কনট্র্যাক্টস (রেগুলেশন্স) আইন অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থার ২৫ শতাংশ শেয়ার অন্তত বাজারে, সকলের নাগালের মধ্যে থাকা বাধ্যমূলক। কিন্তু আদানি গোষ্ঠী এবং তাদের শাখা সংস্থাগুলি শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যেই শেয়ার আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: Investments: এই ১০ সরকারি স্কিমে সবথেকে বেশি সুদ,জেনে নিন সুবিধা লাভের পরিমাণ
SEBI-র দাবি, যে সংস্থাগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলির অধিকাংশই বিদেশ-বিভুঁইয়ে, করফাঁকির স্বর্গরাজ্যে অবস্থিত। এমন ১২টি বিদেশি সংস্থা কী স্বার্থ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিল, তা খুঁজে বের করা কঠিন। শেয়ারের দামে হেরফের ঘটানো থেকে, বিদেশে ভুয়ো সংস্থা খুলে টাকা পাচার করা, এমন আরও একাধিক অভিযোগ উঠে আসে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে। আদানি পাওয়ার, অম্বুজা সিমেন্ট এবং আদানি গ্রিন এনার্জির মধ্যেকার লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু তদন্তে কোনও নিষ্পত্তি করা যায়নি বলে দাবি SEBI-র।
अडानी ग्रुप पर लगे राउंड-ट्रिपिंग और मनी-लॉन्ड्रिंग के आरोपों के मामले में किसी अंतिम निष्कर्ष पर पहुंचने में SEBI की अक्षमता बेहद चिंताजनक है।
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) August 26, 2023
25 अगस्त 2023 को सुप्रीम कोर्ट में दाख़िल SEBI की स्टेटस रिपोर्ट पर हमारा बयान।
SEBI's inability to reach a final conclusion in the… pic.twitter.com/0FQS0mhPnR
এত মারাত্মক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, SEBI যেভাবে সবকিছুকে অমীমাংসিত বলে এড়িয়ে যাচ্ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আসল সুবিধাভোগী কে, আগে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট থাকত। কিন্তু ২০১৮ সালে SEBI-ই নিয়ম-কানুন শিথিল করে দেয়। ২০১৯ সালে সেই রেওয়াজই তুলে দেওয়া হয়। তাদের সেই ভুলেরই মাশুল গুনছে গোটা দেশ। আর ২০ হাজার কোটি টাকা বেনামে আদানি গোষ্ঠীর কাছে এল কোথা থেকে, আজ তা বের করতেই পারছে না SEBI.”