UP Madrasa Fact : শুধু আরবিতেই জোর! ইংরেজিতে নামও লিখতে পারল না UP-র মাদ্রাসা-পড়ুয়ারা! চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী শেখানো হয় এখানে, কী পড়াশোনা করে দশম শ্রেণি অবধি উঠে গেল পড়ুয়ারা ?

একদিকে বেআইনি মাদ্রাসাগুলির (Madrasa) বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে যোগী সরকার। পরপর অনেকগুলি মাদ্রাসা বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে। রবিবারই শ্রাবস্তীতে অননুমোদিত মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বহরায়চ জেলা সদরে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের লেখাপড়ার দুর্দশা শিরোনামে। পিটিআই সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তাদের সামনে মাদ্রাসায় পাঠরত দশম শ্রেণীর কোনও ছাত্রই ইংরেজিতে নিজের নাম লিখতে পারেনি। এরপর ওই মাদ্রাসার পরিচালকদের সতর্ক করে একটি নোটিশ জারি করা হয়। একজন কর্মকর্তা সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী শেখানো হয় এখানে, কী পড়াশোনা করে দশম শ্রেণি অবধি উঠে গেল পড়ুয়ারা ?
পরিদর্শনের সময় কী ঘটেছিল ?
জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা সঞ্জয় মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার বড় টাকিয়ায় স্বীকৃত মাদ্রাসা জামিয়া গাজিয়া সৈয়দুলুলুমের আকস্মিক পরিদর্শন করা হয়। এটি নিয়মমাফিক ইনসপেকশন। সেই সময় একজন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন, কিন্তু রেজিস্টারে তার অনুপস্থিতির সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল না। শুধু দেখা যায়, রেজিস্টারে যত ছাত্র ছাত্রীর নাম আছে, আদতে তার থেকে উপস্থিতি অনেক কম। মুন্সি, মৌলবি এবং আলিমের ক্লাসেও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতোই কম। সঞ্জয় মিশ্র দাবি করেছেন , পরিদর্শনের সময় দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে নিজের নাম এবং মাদ্রাসার নাম লিখতে বলা হয়েছিল, কিন্তু একজনও ছাত্র সঠিকভাবে নিজের নাম লিখতে পারেনি। তিনি আরও জানান, মাদ্রাসায় আরবি, ফারসি ছাড়া অন্য বিষয়ের পড়াশোনার দিকে নজর দেওয়া হয় না, যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা এতটা উদ্বেগজনক। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সঙ্গে গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা
সঞ্জয় মিশ্র বলেছেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের দিকে নজর না দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে।’’ অবস্থার উন্নতির জন্য সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, যদি তা না করা হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদ্রাসার ডিরেক্টর ও অনুপস্থিত শিক্ষককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বহরায়চ জেলায় মোট ৩০১টি স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে, এছাড়া গত কয়েকদিন আগে করা একটি জরিপে ৪৯৫টি অস্বীকৃত মাদ্রাসার সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত শনিবারই, ভারত-নেপাল সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১০টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছু বেনিয়ম লক্ষ করেন বলে দাবি আধিকারিকদের। ভাড়া বাড়িতে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছিল মাদ্রাসা। কয়েকটি মাদ্রাসা তো আবার নির্মীয়মান ফ্ল্যাটেই জমিয়ে বসেছিল।






















