WhatsApp Privacy Policy : পলিসি আপডেট করতে জোর করছে না, হাইকোর্টকে জানাল হোয়াটসঅ্যাপ
কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি আপডেট করতে কাউকে জোর করা হচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি আপডেট করা আবশ্যিক নয়। দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশনের উত্তরে এমনই জবাব দিল সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ।
নয়া দিল্লি: কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি আপডেট করতে কাউকে জোর করা হচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি আপডেট করা আবশ্যিক নয়। দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশনের উত্তরে এমনই জবাব দিল সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি আপডেট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকেই দাবি করেন, পলিসি আপডেট করলে গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে না। তাঁদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা চলে আসবে প্রকাশ্য। সম্প্রতি সেই আশঙ্কা থেকে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল হয়। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয় আদালতে। শুক্রবার ছিল সেই আবেদনের শুনানি।
এদিন পিটিশন প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টকে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, ইউজাররা চাইলে ২০২১ পলিসি আপডেট নাই করতে পারেন। তাঁরা যে কোনও সময় তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতে পারেন। এই বিষয়ে গ্রাহকদের কোনও জোর করা হচ্ছে না। তবে হাইকোর্টকে এই উত্তর দিয়েই থেমে থাকেনি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট।
কোম্পানি জানিয়েছে, তারা যে কাজ করেছে তার জন্য কোনও আইনি বিধিনিষেধ থাকার কথা নয়। কারণ কোম্পানির 'টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন' না মানলে গ্রাহককে পরিষেবা দিতে বাধ্য নয় সংস্থা। এই ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে অন্যান্য অনলাইন কোম্পানি অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছ। নির্দিষ্ট দিনের শেষে ইউজারের থেকে পলিসি অটো আপডেট করিয়ে নেয় তারা। যা করে না হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের কোম্পানির একটা স্বচ্ছতা আছে। সেই ধারা বজায় রাখতেই ২০২১ প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে তারা।
এখানেই থেমে থাকেনি হোয়াটসঅ্যাপ। কোম্পানির তরফে হাইকোর্টে বলা হয়েছে, কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে হস্তক্ষেপের ফলে ইন্টারনেট বেসড ইন্ডাস্ট্রিতে জটিলতার সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে গুগল, মাইক্রোসফট, জুম, ট্রুকলারের উদাহরণ দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। কোম্পানির দাবি, নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি বজায় রেখেছে এইসব কোম্পানি।
দেশীয় ইউজারদের সঙ্গে প্রাইভেসি পলিসি আপডেট নিয়ে বাড়াবাড়ি করলেও ইউরোপিয়ান গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখিয়েছে কোম্পানি। দিল্লি হাইকার্টে এমনই দাবি করছেন আবেদনকারীরা। যদিও এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন সীমা সিংহ, মেঘান ও বিক্রম সিংহ।
গত জানুয়ারিতেই গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে পলিসি আপডেটের নোটিফিকেশন পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে ৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে পলিসি আপডেটের সময়সীমা বেঁধে দেয় কোম্পানি। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বলা হয়, পলিসি আপডেটের পরও আরও সুবিধা হবে গ্রাহকদের। এমনকী ফেসবুকের সঙ্গে তাদের 'ইন্টিগ্রেশন' কাজে আসবে। যদিও কোম্পানির এই কথায় বিশ্বাস করেননি গ্রাহকরা। তাঁরা আশঙ্কা করেন, ফেসবুকের কাছে গ্রাহকদের তথ্য তুলে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ।
আগামী ১৫মে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের শেষ দিন। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেই অ্যাকাউন্ট হাতছাড়া হবে গ্রাহকদের। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইমেলে অন্য কথা বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র। ইমেল উত্তরে তিনি বলেছেন, ''১৫মের পর যাঁরা পলিসি আপডেট করবেন না তাঁদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবে না কোম্পানি। আমরা পলিসি আপডেটের বিষয়ে আরও কয়েক সপ্তাহ গ্রাহকদের সূচনা পাঠাব।''জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের মুখপাত্র আরও জানান, ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাহক তাঁদের পলিসি আপডেট করেছেন। অনেকেই সময় সুযোগের অভাবে তা করে উঠতে পারেননি।