India-Canada Row: উস্কানি দিচ্ছে না কানাডা, সহযোগিতা চায়...বললেন ট্রুডো
PM Justin Trudeau: দিল্লি সরকার যেন বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে, আবেদন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর
নয়াদিল্লি: কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খুন হওয়ার ঘটনা ঘিরে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন তলানিতে। একে অপরের কূটনীতিকে বহিষ্কার করেছে দুই দেশের সরকার। তপ্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতেই ফের বার্তা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কী বলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) জানিয়েছেন, কানাডা ভারতকে কোনওরকম উস্কানি দিতে চায় না বা কোনও সমস্যা তৈরি করতে চায় না। ভারতের কাছে তার আবেদন, দিল্লি সরকার যেন বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং সত্যিটা যাতে প্রকাশ পায় তার জন্য কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা করে। তিনি আরও বলেন, 'ভারত সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছি। আমাদের সঙ্গে কাজ করতে বলেছি। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা আনতে এবং এই বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের সাথে কাজ করতে বলেছি।' নিউ ইয়র্কে United Nations General Assembly-এর 78তম Session-এ যোগ দিতে এসেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি আরও বলেন, 'ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ, ওই দেশের সঙ্গে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। শুধুমাত্র ওই এলাকা নয়, বিশ্বজুড়েই ভারতের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা উস্কানি দিচ্ছি না, সমস্যা তৈরি করছি না। কিন্তু আইনের শাসন এবং কানাডার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা দ্বিধাহীন ভাবে সওয়াল করতে চাই।'
১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর খুন। সেই ঘটনাতেই কানাডা অভিযোগ করে ভারতের এজেন্ট এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে বলে তাদের সন্দেহ। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে ভারত। উল্টে কানাডার বিরুদ্ধে ভারত অভিযোগ করে যে কানাডার মাটিকে ভারতবিরোধী শক্তি ব্যবহার করছে। ২০২০ সালে এই নিজ্জরকেই জঙ্গি বলে ঘোষণা করেছিল ভারত।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, 'সন্ত্রাসবাদ অত্যন্ত বড় ইস্যু। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নয়, এটাও ঘটনা যে সন্ত্রাসবাদকে আর্থিক মদত এবং সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা জানি এটা আমাদের পড়শি দেশ পাকিস্তান করছে। কিন্তু যদি বিদেশে সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্যের কথা বলা হয়, তাহলে কানাডায় সন্ত্রাসবাদীদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটাই মূল বিষয়। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের কী রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পদক্ষেপ করার নাকি আমরা এটাকে ন্যায্য হিসেবে প্রতিপন্ন করব।'
আরও পড়ুন: ভারত-কানাডা সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে এই স্টকগুলিতে, জেনে নিন নাম