Goghat water Logged: কোথাও বুক পর্যন্ত, কোথাও কোমর-সমান জল; টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে গোঘাটবাসী
জলমগ্ন গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ভোগে দামোদরপুর, পেঁচেড়া, কুলিয়া, শুনিয়া, শাওড়া, নকুণ্ডা, কোটা পাবা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন।
মোহন দাস, গোঘাট : টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন। এবার চরম সমস্যায় পড়েছেন গোঘাটের দামোদরপুর, পেঁচেড়া, কুলিয়া, শুনিয়া, শাওড়া, নকুণ্ডা, কোটা পাবা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। জল-যন্ত্রণা কবে দূর হবে সেদিকে তাকিয়ে এখানকার মানুষজন। তবে বৃষ্টি এখন কম হওয়ায় জল কিছু্টা কমেছে। যদিও বিপদ এখনও কাটেনি। চরম দুর্ভোগের কবলে তাঁরা।
এখনও কোথাও এক বুক পর্যন্ত, আবার কোথাও এক কোমর জল জমে রয়েছে এই গ্রামগুলিতে। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছেন এখানকার মানুষজন। এই গ্রামগুলি নীচু এলাকায় হওয়ার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলে থই থই করে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা।
বহু কাঁচা, পাকা বাড়ি থেকে শুরু করে স্কুলভবন পর্যন্ত জলে ডুবে রয়েছে । জলের তলায় চলে গেছে এই এলাকা। এখানকার মানুষদের এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা অথবা নিজেদের হাতে তৈরি করা ভেলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যেতে এই নৌকাই তাঁদের একমাত্র ভরসা। জলের কবলে পড়ে ভেঙে গিয়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি। কোনওটা আবার অর্ধ অবস্থায় ভেঙে রয়েছে। তিল, বাদাম সহ অন্যান্য ফসল সব জলের তলায় । জলযন্ত্রণা কবে দূর হবে সেই আশায় দিন গুণছে দুর্গতরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতির যাতে আর অবনতি না হয় সেই প্রার্থনাই করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে হুগলির ডানকুনির বিভিন্ন ওয়ার্ডেও জল জমতে দেখা গিয়েছে। জমা জলের কারণে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রয়েছেন অনেক বাসিন্দা। অনেকে আবার যাতায়াতের জন্য বানিয়ে নিয়েছেন নৌকা। বাড়ির ভিতরে জল থাকায় খাটের উপরেই থাকতে হচ্ছে তাঁদের। ডানকুনি পুরসভা সূত্রে দাবি, যে সব ওয়ার্ডে জল জমে রয়েছে, সেখানে নীচু জায়গা বলেই অন্য জায়গা থেকে জল এসে জমছে। এই সমস্যা কাটাতে পাম্পিং স্টেশন করার বা একাধিক পাম্প বসিয়ে জল বের করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার।