Coronavirus in India: আজ সন্ধেয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
বৈঠকে ভারত সরকার যে টিকাগুলির অনুমোদন দিয়েছে, সেই সংস্থাগুলি ছাড়াও দেশ ও বিদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিরা যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ১৮ বছর বয়স হলেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন । ১ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। সেইসঙ্গে খোলা বাজারেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবে উৎপাজনকারী সংস্থাগুলি। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা । এরফলে মানুষ চাইলে নিজেই ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে। রাজ্যগুলিকে সরাসরি ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা। গতকাল এমই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর আজ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সন্ধে ছয়টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, বৈঠকে ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি একটি উপস্থাপনা পেশ করবে এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবে। বৈঠকে ভারত সরকার যে টিকাগুলির অনুমোদন দিয়েছে, সেই সংস্থাগুলি ছাড়াও দেশ ও বিদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিরা যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে সিরাম ইন্সস্টিটিউটের অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ড ও দেশে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এখন টিকাকরণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃতীয় টিকা রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ফাইভ দেশে আমদানি করা হবে এবং তা বিক্রি করবে ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ভ্যাকসিনকেও ছাড়পত্র দিয়েছে।
সারা বিশ্বে এখন যে ভ্যাকসিনগুলি পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারতে খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি ভ্যাকসিন।
উল্লেখ্য, ভারতের দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এরমধ্যেই আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি যে কাউকে করোনা টিকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ২,৫৯,১৭০ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ১,৭৬১ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,৫৪,৭৬১ জন ৷