Odisha Train Accident:বুধবার সকালের মধ্য়েই দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলপথে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে, জানালেন রেলমন্ত্রী
Railway Minister Ashwini Vaishnaw:বুধবার সকালের মধ্য়েই দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলপথে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে, জানালেন রেলমন্ত্রী। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে, বহু জায়গায় নতুন করে পাতা হয়েছে লাইন।
ঝিলম করঞ্জাই, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: বুধবার সকালের মধ্য়েই দুর্ঘটনাগ্রস্ত (Odisha Rail Accident) রেলপথে (Railway Track) পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে, জানালেন রেলমন্ত্রী (Railway Minister)। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে, বহু জায়গায় নতুন করে পাতা হয়েছে লাইন। সোমবার হতে পারে ট্রায়াল রান। তার আগে রবিবার, ওভারহেড ইক্যুইপমেন্ট ইন্সপেকশন কার চালিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
কী পরিস্থিতি...
জায়গাটার ওপর দিয়ে যেন বিরাট ঝড় বয়ে গিয়েছে। সবকিছু তছনছ!! পড়ে আছে ভাঙাচোরা বগির কঙ্কাল!! মনে করিয়ে দিচ্ছে, শুক্রবার সন্ধেয় কী ভীষণ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল এখানে! দুর্ঘটনার ভীষণ অভিঘাতে রেলট্র্যাক ভেঙে ঢুকে গিয়েছিল বগির মধ্য়ে! কোথাও লাইন বেঁকে গিয়েছিল ধনুকের মতো। আবার কোথাও ট্রেন লাইনের একাংশ উপড়ে গিয়েছিল। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রেল ট্র্যাক-কে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'টার্গেট নিয়েছি, বুধবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিস্থিতি। তার আগে শেষ করব।' রেল সূত্রে খবর, শুক্রবার বাহানাগা বাজার স্টেশনের ট্রেন দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩ নম্বর ট্র্যাক অর্থাৎ যেখানে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছিল। ট্রেনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে, সেখানে নতুন করে পাতা হয়েছে লাইন। আপ-মেন লাইনের তুলনায় পাশে থাকা ডাউন মেন লাইন অর্থাৎ যেখানে যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস ছিল তার ক্ষতি তুলনামূলক কম, তাই সেই ট্র্যাক আগে ঠিক করা হয়েছে। রবিবার, দুপুরে রেলমন্ত্রী সেকথা জানিয়ে ট্যুইটারে লেখেন,বেলা ১২টা ৫ নাগাদ ডাউন মেন লাইন ঠিক করা হয়েছে। সোমবার হতে পারে ট্রায়াল রান। তার আগে এদিন, ওভারহেড ইক্যুইপমেন্ট ইন্সপেকশন কার চালিয়ে দেখে নেওয়া হয়, রেলওয়ে স্লিপারের মধ্য়ে গ্যাপ ঠিক আছে কিনা। বৈদ্যুতিক সংযোগ খতিয়ে দেখা হয়। ব্যবহার করা হয় duomatic machine ও tamping machine. রেললাইন পোক্ত করতে ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য duomatic machine ব্যবহার করা হয়। রেল লাইনের জ্যামিতিক মাপে যাতে ভুল না হয় তাই tamping machine ব্যবহার করা হয়। এদিন দুপুরে রেলমন্ত্রক ঘোষণা করে, উদ্ধারকাজ শেষ। তার আগে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও ৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ভয়াবহ ট্রেন বিপর্যয়ের পরে এলোমেলো হয়ে যাওয়া রেলপথ সারিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী। কিন্তু, প্রশ্ন হল, এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা যাদের জীবন এলোমেলো করে দিল, তাদের জীবন স্বাভাবিক হবে কবে?
আরও পড়ুন:এই ৫টি জিনিস স্বপ্নে দেখলেই বিপদ সংকেত! জীবনে আসতে পারে দুর্ভোগ