Vladimir Putin: ৭৩ বছরেও মসনদ ছাড়তে নারাজ! রাশিয়ায় ফের নির্বাচনে নাম লেখাচ্ছেন পুতিন
Russia Elections 2024: এ নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। প্রাণহানি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কোনও হিসেব নেই। সেই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ড ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে দাবি শোনা যাচ্ছিল। তাই বলে মসনদে টিকে থাকার লড়াইয়ে তিনি পিছু হটছেন না বলে খবর উঠে এসেছে। বরং ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের পুতিন নাম লেখাচ্ছেন বলে খবর সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। (Russia Elections 2024)
শীঘ্রই এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে, খবর রুশ সংবাদমাধ্যমে
এ নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। পুতিন ফের নির্বাচনে নাম লেখাবেন। শীঘ্রই এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। আগামী বছর মার্চ মাসে নির্বাচন রাশিয়ায়। পুতিনের সামনে অন্য কেউ টিকতে পারবেন না বলে আশাবাদী তাঁর অনুগামী এবং সমর্থকেরা।
৭৩ বছর বয়সি পুতিন ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ায় ক্ষমতায় রয়েছেন, কখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনও আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বরিস ইয়েলৎসিনের পর ক্ষমতাদখল করেন তিনি। রাশিয়ার ইতিহাসে জোসেফ স্ট্যালিনের পর পুতিনই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রেসিডেন্ট।রাশিয়ায় ছ’বছর মেয়াদ প্রেসিডেন্টের। সেই নিরিখে, ২০২৪ সালে ফের জয়ী হলে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন।
আরও পড়ুন: Singles' Day: নিজের প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করার দিন, নয়ের দশক থেকে চিনে ‘একাকী দিবস’ পালন চলছে
এখনই মসনদ ছাড়ার কোনও ইচ্ছে যে পুতিনের নেই, তার ইঙ্গিত মিলেছিল দু’বছর আগেই। কারণ ২০২১ সালেই সংবিধান সংশোধন করে দেশে নতুন আইন চালু করেন তিনি। তার আগে পর্যন্ত মাত্র দু’দফায় একজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন রাশিয়ায়। কিন্তু নয়া আইনে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বাধা নেই পুতিনের।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পুতিনের শাসনেরই পক্ষে
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা চালান পুতিন। তার পর থেকে এক বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, যুদ্ধে উতি পড়েনি। বরং সম্প্রতি ফের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে রুশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় পুতিনের জনপ্রিয়তা কমেছে বলে শোনা যাচ্ছিল। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভালানির প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়ছিল বলেও খবর আসে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পুতিনের শাসনেরই পক্ষে।