Sedition Law:অবলুপ্তির পথে দেশদ্রোহ আইন, কী জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
Amit Shah:'ঔপনেবেশিক শাসনের' প্রতীক মুছে ফেলতে এবার দেশদ্রোহ আইন লুপ্ত করতে চলেছে ভারত সরকার। শুক্রবার সংসদে এমনই ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
নয়াদিল্লি: 'ঔপনেবেশিক শাসনের' প্রতীক মুছে ফেলতে এবার দেশদ্রোহ আইন (Sedition Law) লুপ্ত করতে চলেছে ভারত সরকার। শুক্রবার সংসদে এমনই ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পরিবর্তে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অ্যাক্ট' পাশ করাতে চায় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, 'এই নতুন ব্যবস্থায় (এখনও যেটি বিল স্তরে রয়েছে) Sedition Law-এর মতো আইন অবলুপ্ত করা হবে। আমরা, অপরাধ প্রমাণের অনুপাত ৯০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছি। তাই যে সব অপরাধের ক্ষেত্রে ৭ বছর বা তার থেকে বেশি মেয়াদের কারাদন্ড হতে পারে, সেই সব ক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অপরাধস্থলে যাওয়াও বাধ্যতামূলক করা হবে।'
কী বলছে নয়া বিল?
আইনি পরিসর থেকে শুরু করে এমন সমস্ত ক্ষেত্র, যেখানে ঔপনেবেশিক আমলের প্রতিফলন রয়েছে, তার রূপ বদলাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে Sedition Law অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত। বস্তুত, শুক্রবার সংসদে ' ঔপনেবেশিক আমলের' ফৌজদারী আইন বদলানোর জন্য তিনটি বিল প্রস্তাব করেছে সরকার। ' ইন্ডিয়ান পিনাল কোড' বা আইপিসি, ' ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট' এবং ' ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্ট' -এর পরিবর্তে তিনটি বিলের প্রস্তাব আনা হয়েছে। এগুলির নাম যথাক্রমে, ' ভারতীয় ন্যায় সংহিতা' , ' ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা' এবং ' ভারতীয় সাক্ষ্য'।
কেন নয়া বিল?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য় অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আইপিসি-এর ১২৪এ ধারায় দেশদ্রোহের ৩৯৯টি অভিযোগ রুজু হয়েছিল। এতেই শেষ নয়। ২০১৪ সালে যেখানে দেশদ্রোহের ৪৭টি মামলা রুজু হয়েছিল, সেখানে ২০২০ সালে ওই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৭৩-এ। তবে আইনজ্ঞদের মতে, আপাতভাবে দেশদ্রোহের মামলা রুজু হওয়ার হার বেড়ে গেলেও ওই মেয়াদে অপরাধ প্রমাণের হার তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। তথ্য বলছে, এই মেয়াদের মধ্যে দেশদ্রোহের মামলার মোটে ৮টিতে অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। গত বছর দেশের শীর্ষ আদালত, এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি সাসপেন্ড করে। সঙ্গে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, দেশদ্রোহ আইনটিকে পুনরায় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে। অনেকের মতে, এই নির্দেশের মধ্যে কোথাও একটা দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মতপ্রকাশ ও মতবিরোধের স্বাধীনতার মতো দুটি দিকের ভারসাম্য বজায় রাখার বার্তা ছিল। সেই পথেই কি নতুন বিল পাশ করাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার? প্রশ্ন নানা মহলে।
আরও পড়ুন:'হর ঘর তিরঙ্গা' বাইক ব়্যালি দিয়ে শুরু ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন