Stan Swamy Death : স্টান স্বামীর মৃত্যু ভারতে মানবাধিকারের অধ্যায়ে চিরকাল "দাগ" হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ
স্টান স্বামীর মৃত্যুর পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আইনের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এনআইএ স্টান স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল।
রাষ্ট্রসংঘ : স্টান স্বামীর মৃত্যুর খবরে তিনি বিধ্বস্ত। এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, এক মানবাধিকার রক্ষাকারীকে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোনও যুক্তি নেই। তাঁর(স্টান স্বামী) মৃত্যু ভারতে মানবাধিকারের ইতিহাসে চিরকাল দাগ হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে মেরি ললার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে বলেন, "ফাদার স্টান স্বামীর মৃত্যু প্রত্যেক রাষ্ট্রকে মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং যাঁদের যথেষ্ট আইনি ভিত্তি ছাড়াই আটক করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তির বিষয়ে স্মরণ করাবে। হেফাজতে থাকাকালীন বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ক্যাথলিক যাজক স্টান স্বামী যিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে একাজে নিবেদিত ছিলেন, তাঁর মৃত্যু ভারতের মানবাধিকারের অধ্যায়ে চিরকাল একটা দাগ হয়ে থাকবে। একজন মানবাধিকার কর্মীকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার কোনও কারণ থাকতে পারে না।"
যদিও ভারত এনিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। স্টান স্বামীর মৃত্যুর পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আইনের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এনআইএ স্টান স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাই আদালত তাঁর জামিন প্রত্যাহার করছিল। আইন অনুযায়ীই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই মাসেই বন্দিদশায় মৃত্যু হয় সমাজকর্মী ফাদার স্টান স্বামীর। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মুম্বইয়ের বান্দ্রার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল স্টান স্বামীকে। গত বছর এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার হন ৮৪-র এই মানবাধিকার কর্মী। শারীরিক কারণে জামিনের জন্য নতুন করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
আদালতকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি জানিয়েছিলেন, তালোজা জেলে তাঁর শারীরির অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। যদি তাঁকে অন্তবর্তী জামিন না দেওয়া হয়, তাহলে শীঘ্রই তিনি মারা যাবেন। তিনি চিকিৎসার আবেদন জানান। এর পাশাপাশি তালোজা জেলে অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন। এমনকী করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ববিধি না মানা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, চিকিৎসা পরিষেবার অভাব ইত্যাদির অভিযোগ তোলেন কারা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ২৮ মে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ভেন্টিলেটরে ছিলেন। এরই মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ৫ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরিরা। এব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। তাঁরা দাবি জানান, মিথ্যে মামলা দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। এব্যাপারে অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলুন কেন্দ্রীয় সরকারকে।