মদের ‘বিষক্রিয়ায়’ বারুইপুরে ১২ জনের মৃত্যু, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর ক্ষিপ্ত জনতার
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিষমদে মৃত্যুর অভিযোগ। চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর করে আগুন ক্ষিপ্ত জনতার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুরে থানার বেলেগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনগর, ঘোলা, দক্ষিণ ঘোলা এবং দক্ষিণ বেলেগাছি এলাকায় গত কয়েকদিনে বিষমদ খেয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্য হয়। মঙ্গলবার ভোর থেকে ফের শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদেরকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপরই উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর শুরু করে মদের ঠেকগুলিতে। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। পরে ক্যানিং ও বারুইপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের নাকের ডগাতেই এলাকার ৭-৮টি চোলাই মদের দোকান চলে। সেই মদের বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে সবার। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গ্রামবাসীরা বিষমদে মৃত্যুর অভিযোগ করলেও তা মানতে চাননি তাঁরা। ঘটনায় মনোরঞ্জন গায়েন, গৌতম নস্কর, অলোক নস্কর সহ ৪টি চোলাই ঠেকের মালিককে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁদের মধ্যে চোলাই খেয়ে অসুস্থ ছিলেন মনোরঞ্জন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি তিনজনকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি, জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, বিষ মদে এই মৃত্যু কি না স্পষ্ট নয়। ময়নাদতন্দের পরই তা জানা যাবে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। বসানো হয়েছে ২টি মেডিক্যাল ক্যাম্প। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সংগ্রামপুরের ঘটনা থেকে যে পুলিশ বা প্রশাসন কোনও শিক্ষা নেয়নি, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।