(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bengal BJP Crisis: ‘দল ছাড়ছি না, ছাড়তে পারলে সব গুপ্ত কথাই ফাঁস করতে পারতাম’, নাম না করে দিলীপকে জবাব তথাগতর
Bengal BJP Tathagata Roy: বিধানসভা ভোটে পরাজয় থেকে দল পরিচালনা - একের পর এক ইস্যুতে নিয়ে দিলীপ ঘোষের সমালোচনা করেছেন তথাগত রায়। গতকাল তথাগত রায়ের ধারাবাহিক আক্রমণের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা: দল ছাড়তে বলায় ফের দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দলের নেতা তথাগত রায়ের। ফের ট্যুইট করে নাম না করে তিনি আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষকে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগতর ট্যুইট, ‘আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। এই অবস্থাতেই যাত্রায় বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব। দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্ত কথাই ফাঁস করতে পারতাম।কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।’
এভাবে বিজেপির দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বাগযুদ্ধ আরও তীব্র হল। দল ছেড়ে দিন। গতকাল নাম না করে তথাগত রায়কে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গুরুত্ব দিচ্ছি না বলে তা আমলই দেননি তথাগত রায়। কোন্দল নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে তথাগত রায়ের সঙ্গে তরজায় জড়ান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বিধানসভা ভোটে পরাজয় থেকে দল পরিচালনা - একের পর এক ইস্যুতে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। গতকাল বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের ধারাবাহিক আক্রমণের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। গতকাল দিলীপ ঘোষ বলেন, কতদিন আর লজ্জা পাবেন, দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি, দল সবথেকে বেশি যাঁদের দিয়েছে, তাঁরাই দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেন। এটাই দুর্ভাগ্য আমাদের।
উত্তরসূরীকে বিঁধে পাল্টা তথাগত রায় ট্যুইটে লেখেন, এর জবাব দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারবেন না, তাই পণ্ডশ্রম করে লাভ নেই। এই মন্তব্যকে আমি বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না।
বিজেপির দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বাগ্যুদ্ধের আবহে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটে লেখেন,রাজ্যপাল পদ শেষ হলে বাংলায় নেতা হতে এসেছিলেন তথাগত। দিলীপ ঘোষ ঢুকতে দেননি।দিলীপবাবু তো নিজে তবু বিধায়ক, সাংসদ হয়েছেন। এই ভাঁড়সম্রাট তথাগত, দিলীপবাবুর জুতো পালিশের যোগ্য নন। রোজ অবসাদ থেকে বিষোদ্গার করছেন টুইটে।গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া আর টুইট ছাড়া এটার আছেটা কী?
তৃণমূলের কটাক্ষের জবাব দিতে দেরি করেননি তথাগত রায়। কুণাল ঘোষকে বিঁধে ট্যুইটে তিনি লেখেন, সারদা কেসে জেলে গিয়ে, জামিন পেয়ে অতীতের পাপ স্খালন করার জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মমতাপন্থী হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনখারাপি করার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে!
সবমিলিয়ে বিজেপির দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বাগযুদ্ধ এবং তা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ অন্য মাত্রা জুড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।