Burdwan Railway Overbridge: আলোর দায়িত্ব কার? টানাপোড়েনে সন্ধের পর আঁধারে ডুবছে বর্ধমান উড়ালপুল
বর্ধমান শহরের গর্ব নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজের আলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কার? আজও তার কোনো সঠিক উত্তর মিলল না।
কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: বিগত কয়েকমাস ধরে বর্ধমান উড়ালপুল অন্ধকারে। আলোর দায়িত্ব কার এই নিয়ে টানাপোড়েন।আর এর মাঝেই অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উড়ালপুল চত্বর। এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ।
বাতি স্তম্ভ আছে,বাতি লাগানো আছে, কিন্তু আলো জ্বলে না।সন্ধে হলেই অন্ধকার উড়ালপুল। বর্ধমান শহরের গর্ব নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজের আলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কার? আজও তার কোনো সঠিক উত্তর মিলল না। আর ভাগের মা-এর মতই গত প্রায় কয়েকমাস ধরে অত্যন্ত ব্যস্ততম বর্ধমানে রেল লাইনের উপর গড়ে ওঠা উড়ালপুল সন্ধে নামলেই ঘন অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। ব্যঙ্গ করে ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা বলছেন, বর্ধমানের অন্ধকার উড়ালপুল।
বর্ধমান থেকে কালনা,কাটোয়া দিকে যেতে গেলে এই উড়ালপুল ব্যবহার না করে যাওয়া যায় না। অথচ সন্ধে নামলেই আস্তে আস্তে অন্ধকারে ঢাকা পড়তে থাকা এই উড়ালপুলে যত রাত বাড়ে ততই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। রাস্তার বাঁক নিতে গিয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গত প্রায় একমাস ধরে উড়ালপুল অন্ধকারে থাকায় রাত ১০টার পর থেকেই ধীরে ধীরে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।এমনকি অভিযোগ, ছিনতাই বা অন্য কোনও বিপদের আশঙ্কায় মহিলাদের তো অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের গর্ব হিসাবে। আলোক মালায় সেজে উঠেছিল এই উড়ালপুল।বর্ধমান ডেভোলপমেন্ট অথোরিটির উদ্যোগে লাগানো হয়েছিলো আলো।তখন ভাবতেই পারা যায় নি এত তাড়াতাড়ি উড়ালপুলের আলোর ভাগ্য দুলতে থাকবে।
আলো জ্বালানোর দায়িত্ব কাদের হাতে? পৌরসভা না পূর্ত দপ্তরের হাতে? কেউ ভাবতেও পারেননি, যে এই প্রশ্নে কারণে প্রায় ২ মাস ধরে জ্বলবে না উড়ালপুলের আলো।দুর্ভোগের স্বীকার হতে হবে সাধারন মানুষকে।
গোটা উড়ালপুলে আলো না থাকায় রাত্রিবেলায় মহিলাদের কানের দুল, মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মহিলারা সন্ধে নামলেই প্রবল আতঙ্কের মধ্যেই উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করছেন।
বর্ধমান পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ জানিয়েছেন, উড়ালপুলের আলোর ব্যবস্থা যে তাঁদের, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে ওই উড়ালপুলের আলো বাবদ কোনো বিলই আসেনি।
যদিও বর্ধমান উত্তরের মহাকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন,আলো নিয়ে সমস্যা হয়েছে। বর্ধমান পুরসভা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ফের কবে উড়ালপুল রাতে উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠবে, সেদিকেই তাকিয়ে বর্ধমানবাসী।