মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলা: বিমল গুরুং-সহ ২৩ অভিযুক্তর আগাম জামিন মঞ্জুর
কলকাতা: বছর ঘুরলেই পাহাড়ে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক কয়েক মাস আগে, ‘মদন তামাং হত্যা মামলা’য় স্বস্তি ফিরল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা শিবিরে। সৌজন্যে কলকাতা হাইকোর্টের বুধবারের রায়। বিমল গুরুং-সহ ২৩ অভিযুক্তর আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে বিচারপতি অসীম কুমার রায় ও বিচারপতি মলয়মারুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে হবে অভিযুক্তদের। সিবিআইয়ের উদ্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যদি মনে করে তাহলে, এই ২৩ জনকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু হেফাজতে রাখা যাবে না। গ্রেফতারের পর, তৎক্ষণাত ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিতে হবে। ১১ জানুয়ারির মধ্যে অভিযুক্তদের দিতে হবে চার্জশিটের কপি। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারির মধ্যে চার্জ গঠনের জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চার্জ গঠনের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে কলকাতায় চলে আসতে হবে অভিযুক্তদের। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না। একান্তই যেতে গেলে, সিবিআইয়ের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। ২০১০ সালের ২১ মে দার্জিলিংয়ে গোর্খা লিগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে, খুন হন মদন তামাং। রাস্তার ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় এই গোর্খা লিগ নেতার। এই ঘটনায় বিমল গুরুং, আশা গুরুং, রোশন গিরি সহ ১৫ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট মূল অভিযুক্ত তথা মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিকোল তামাঙ্গকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, ২২ অগাস্ট শিলিগুড়ির কাছে পিনটেল ভিলেজে সিআইডি ক্যাম্প থেকে নিকোল তামাঙ্গ পালান। ওই বছরই ৩০ অগাস্ট তিরিশ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। কিন্তু, এরপর ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি মদন তামাং হত্যা মামলা এবং নিকোল তামাং উধাও মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।