Heavy Pre Monsoon Rain: ডুলুং নদীর জলস্তর বেড়ে বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রামের জাম্বনি, মানিকপাড়া এলাকার ২০-২৫টি গ্রাম
বর্ষা আসতেই ফিরল ফি বছরের দুর্ভোগের চেনা ছবি
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : টানা বৃষ্টিতে ডুলুং নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বিপত্তি। প্লাবিত কজওয়ে। তার জেরে ঝাড়গ্রাম সদরের সঙ্গে জাম্বনি ব্লকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মানিকপাড়া এলাকার ২০/২৫ টি গ্রামও বিচ্ছিন্ন। সব জায়গাতেই কার্যত এক কোমর জল দাঁড়িয়ে। আর যার জেরে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে দৈনন্দিন কাজকর্ম সবকিছু নিয়েই চরম সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্ষা আসতেই ফিরল ফি বছরের দুর্ভোগের চেনা ছবি। ঝাড়গ্রামের জাম্বনি ব্লকে কজওয়ে ছাপিয়ে উপচে পড়ছে ডুলুং নদীর জল। একই অবস্থা মানিকপাড়া, সরডিহাতেও। কজওয়ের একপ্রান্তে জেলা সদর ঝাড়গ্রাম। আরেক প্রান্তে জাম্বনি ব্লক। ডুলুংয়ের জল বেড়ে গিয়ে দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন।
চিল্কিগড়ে কনকদুর্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডুলুং নদী জাম্বনি ব্লককে দুভাগে ভাগ করেছে। কজওয়ে প্লাবিত হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। জাম্বনি থেকে রোগীদের নিকটবর্তী চিল্কিগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ১৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। একই ভাবে গিধনিতে কেউ অসুস্থ হলে, প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরপথে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে ঝাড়গ্রামে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থায়ী সেতুর জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এবিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। অনেক বড় কাজ। প্রায় দু’কোটি টাকার বাজেট। মাটি পরীক্ষা হয়েছে। পূর্ত দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শুধু মেডিক্যাল এমার্জেন্সি নয়, বিডিও বা পঞ্চায়েত অফিসেও কাজ নিয়ে যেতে পারছেন না স্থানীয়রা। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এই সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি চলবে। জল কখন নামবে, এখন সেদিকেই চেয়ে কজওয়ের দুপারের বাসিন্দারা।
এদিকে, সরডিহার রেলের আন্ডারপাস তৈরিতে পরিকল্পনার গলদের জেরে তাদের ভুগতে হচ্ছে বলে দাবি সেখানকার স্থানীয়দের। এই আন্ডারপাসটিই সরডিহা ও জাতীয় সড়কের সঙ্গে মানিকপাড়ার ২০-২৫টি গ্রামের একমাত্র সংযোগস্থল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ফ্লাইওভারের বদলে আন্ডারপাস করাতেই সেখানে এসে জল জমা হয়। স্থানীয়রা প্রত্যাশায়, কবে এই ফি বছরের বিপত্তি থেকে নিষ্কৃতি মিলবে তাদের।