সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বছর দেড়েক আগে দলবদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ভোটের আগে বিধানসভার লবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন।বিধানসভায় বাগদা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন তিনি। এবার মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেসুরো গাইলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। শুধু বিশ্বজিৎ দাসই নন, বেসুরো নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা সুনীল সিংহও।
গতকাল পুত্র বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এর সঙ্গে বিজেপির অন্দরের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব মুকুলের দলত্যাগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বিশ্বজিৎ ও সুনীল। বিশ্বজিৎ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কেরও উল্লেখ করেছেন।
বাগদার বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, মুকুল রায়ের মতো নেতা চলে যাওয়ায় ক্ষতি হবে দলের। তিনি আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে। তৃণমূলনেত্রী তাঁকে স্নেহ করেন। ভাল সম্পর্ক আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
বিশ্বজিৎ বলেছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক ব্যাপার জড়িত নয় । গতকাল শুক্রবার মুকুল তৃণমূলে ফেরেন। গতকালই বনগাঁয় বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ।কিন্তু, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর,গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর,বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে বিশ্বজিৎ যেখানে ওই বৈঠক হয়েছে, সেই স্থান সম্পর্কে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে এবার বেসুরো নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা সুনীল সিংহও। তিনি বলেছেন, মুকুল রায় বড়মাপের নেতা। তিনি চলে যাওয়ায় বিজেপির ক্ষতি হবে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলাম মুকুল রায়ের হাত ধরেই। ভবিষ্যতে কী হবে সময় বলবে। এভাবেই দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বিজেপি নেতা সুনীল সিং। এনিয়ে বিজেপি অথবা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।