![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
পঞ্চায়েত মনোনয়ন: হাইকোর্টে যেতে বাম-বিজেপিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
![পঞ্চায়েত মনোনয়ন: হাইকোর্টে যেতে বাম-বিজেপিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের Panchayat polls: SC asks BJP and left to approach kolkata HC over their plea পঞ্চায়েত মনোনয়ন: হাইকোর্টে যেতে বাম-বিজেপিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2018/02/05123252/SUPREME_COURT1.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা ও নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট থেকে পঞ্চায়েত মামলা আবার ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে। বিজেপি-সিপিএমকে হাইকোর্টে যেতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতিরা। সেই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উস্মাপ্রকাশ করল সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার রাতে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়িয়েও মঙ্গলবার সকালে সেই বিজ্ঞপ্তি ফিরিয়ে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিজেপি। অন্যদিকে, জটিলতা না কাটা পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। বুধবার দু’টি মামলাই শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি আর কে অগ্রবাল এবং বিচারপতি অভয়মনোহর সাপ্রের বেঞ্চে। বিজেপির মামলার প্রেক্ষিতে তাদের আইনজীবী পি এস পটওয়ালিয়া শুরুতেই সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মানা হচ্ছে না। মনোনয়নের সময়সীমা বাড়িয়েও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন দেখিয়ে তিনি বলেন, দেখুন কীভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণ তাঁর সওয়ালে বলেন, হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা ইতিমধ্যে বিচারাধীন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভেও সঙ্গে সঙ্গে বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছি। একথা শুনে বিচারপতিরা কিছুটা উস্মার সুরে বলেন, কীভাবে কাজ করছেন, সে তো দেখতে পাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলে, মামলাকারীর আইনজীবী ১১ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত একটি সংবাদের ক্লিপিং আমাদের সামনে পেশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে কীভাবে ১০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্টে বিবেচনাধীন তাই সব পক্ষ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে যাবতীয় বিষয়গুলি জানাক। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি বাতিল নিয়ে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করেছে, তার প্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে সওয়াল করেন, বিজেপি তথ্যগোপন করেছে। একই ধরণের মামলা তারা সুপ্রিম কোর্টে করেছে। একই মামলা দু’জায়গায় করা যায় না। তাই হাইকোর্ট কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হোক। বিজেপির কোনও প্রতিনিধি আদালতে না থাকায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার উস্মা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ খারিজের আবেদনপত্র জমা দিতে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানি হবে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)