রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ; আটক শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর
স্বামী পেশা সূত্রে দুবাই- এ থাকেন।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু গৃহবধূর। এবার ঘটনাস্থল হুগলি। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হরিপালের পাঁটরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রসাদপুর এলাকায়। তবে খুন নাকি আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম ফিরদৌসি বেগম (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিরদৌসি বেগম তাঁর শ্বশুর বাড়িতে দোতলার ঘরে একাই শুতেন। নিচে তার শ্বশুড়, শাশুড়ি ও এক দেওর থাকতেন। স্বামী পেশা সূত্রে দুবাই- এ থাকেন। মৃতার শাশুড়ির বয়ান অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকালে নিচে না নামায় শাশুড়ি ওপরে যান এবং গিয়ে দেখেন ফিরদৌসি বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তারপরেই ওনার চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়।
এরপর খবর পেয়ে হরিপাল থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের তিন সদস্য শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরকে আটক করেছে পুলিশ। গোটা বাড়িটিই আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আত্মহত্য়া নয়, বাড়ির লোকই খুন করেছেন ফিরদৌসিকে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে শহরেও জোড়া রহস্যমৃত্যু। একদিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল নিউটাউনের টেকনো সিটি থানা এলাকার। অন্য দিকে বাগুইআটির সাহাপাড়ায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাগুইআটি কেসে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী দুজনেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। গত দু’মাস ধরে সাহাপাড়ায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে দম্পতির মধ্যে চরম অশান্তি হয়। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশিরাই খবর দেন পুলিশকে। এরপর বাগুইআটি থানার পুলিশ এসে ঘর থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
এদিকে শুক্রবার সকালে নিউটাউনের আকন্দ কিশোরী ব্রিজে প্রাতঃভ্রমণকারীরাই প্রথম এই ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় টেকনো সিটি থানায়। ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, মৃত্যুর নেপথ্যে যাবতীয় কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।