Purulia : ভুলবশত ট্রেনে উঠে পা ফসকে লাইনে, রেল পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল বৃদ্ধার
ঘটনাস্থলে কর্মরত রেল পুলিশ কার্তিক প্রামাণিকের নজরে পড়ে বিষয়টি । রেল লাইনের নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই তৎপরতার সঙ্গে তড়িঘড়ি উদ্ধার করেন তাঁকে।
সন্দীপ সমাদ্দার,পুরুলিয়া : রেল পুলিশের প্রশংসনীয় কাজ। এবার রেল পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচলো বৃদ্ধার। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার নাম সুনীল বার্লা। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ার সময় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা সুনীল বার্লা। সেই সময়ই হঠাৎ পা ফসকে পড়ে যান তিনি। এরপরই ঘটনাস্থলে কর্মরত রেল পুলিশ কার্তিক প্রামাণিকের নজরে পড়ে বিষয়টি। রেললাইনের নীচে পড়ে যাওয়ার আগেই তৎপরতার সঙ্গে তড়িঘড়ি উদ্ধার করেন তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধার বাড়ি জামশেদপুরে । ভুলবশত পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন তিনি । ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে ট্রেন ছাড়ার সময় তড়িঘড়ি নামতে যান তিনি। আর তাড়াহুড়ো করে নামার সময়ই ঘটে যায় এই বিপত্তি। ঘটনায় রেল পুলিশের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। জানিয়েছেন, আজ যদি রেল পুলিশ না থাকত, তাহলে খুব বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার আমলা বহাল গ্রামের ঘটনা। জমি বিবাদের জেরে বাবাকে খুন করে নদীর চরে বালির মধ্যে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরপরই নিখোঁজ হয়ে যান ওই তাঁদের বাবা মহেশ্বর সোরেন। জানা গিয়েছে, মেজো ছেলে শ্রীকান্তের কাছে থাকতেন নিহত ওই ব্যক্তি। সেই সময় ধৃত ব্য়ক্তির ছোট ভাই সঞ্জয় বাবার খোঁজ করতেই ওই ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেন। ছোট ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ এবং তারপরই দ্বারকেশ্বর নদীর পাড় থেকে বালির মধ্যে পুঁতে রাখা মহেশ্বর সোরেনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরই শ্রীকান্ত ও তাঁর স্ত্রী নমিতাকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, মহেশ্বর সরেনের দেহটি উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।