![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
TMC Factional Clash: এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ, বোমাবাজি, জখম ১০-১২ জন
সংঘর্ষে আহত হন দু পক্ষের ১০-১২ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ।
![TMC Factional Clash: এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ, বোমাবাজি, জখম ১০-১২ জন West Bengal Goghat TMC Party factional clash 12 injured in Hooghly TMC Factional Clash: এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ, বোমাবাজি, জখম ১০-১২ জন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/24/1a8500cfd7507d0343a5fc752a554082_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মোহন দাস, গোঘাট: এলাকা দখল নিয়ে প্রধান ও উপ প্রধানের স্বামীর মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির গোঘাটের শ্যামবাজার এলাকা। গতকাল ওই এলাকায় বোমাবাজি হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হন দু পক্ষের ১০-১২ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ জুলাই। প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তোলেন উপ প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। গতকাল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দু’ পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এলেও বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। বিষয়টি দলের উচ্চস্তরে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
জানা গেছে, এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। বল্লম, টাঙ্গি নিয়ে একে অপরের ওপরে আক্রমন চালায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন।রক্তাক্ত হন অনেকেই। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গোঘাট থানার বিশাল পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী। সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন শ্যামবাজার এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও অঞ্চল প্রধান সেখ গিয়াস উদ্দিন। আহত হয়েছেন অপর এক তৃণমূল নেতা ও গোঘাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সেখ শাহাবুদ্দিন। আহত হয়েছেন এখানকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অরুণ পাল। এই অঞ্চলের উপ প্রধানের স্বামী নিতাই চরণ নন্দী,রিয়াজুল মল্লিক,রহমত খাঁ সহ সহ একাধিক নেতা ও কর্মীও জখম হয়েছেন।
ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করেই এখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গিয়াসউদ্দিন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সেখ শাহাবুদ্দিন ও তাঁর দলবলের সাথে অপর পক্ষের নেতা ও অঞ্চল সভাপতি অরুণ পাল, উপ প্রধানের স্বামী নিতাই নন্দীর এই লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। উল্লেখ্য যে, কয়েক দিন আগেই এলাকায় সরকারি গাছ কাটা নিয়ে প্রধান গিয়াস উদ্দিন কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তৃণমূল নেতা নিতাই নন্দী।তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেই থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছিল। শুক্রবার রাতে সেই লড়াই আবারও প্রকাশ্যে আসে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ উভয় পক্ষের তিন নেতাকে আটক করেছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)