India Corona Update: ১৪৭ দিন পর সর্বনিম্ন সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত ২৮,২০৪
গতকাল একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৪৭।
নয়াদিল্লি: ১৪৭ দিন পর দেশে সর্বনিম্ন দৈনিক করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী গত এক দিনে দেশে ২০ শতাংশের বেশি দৈনিক সংক্রমণ কমল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ২৮ হাজার ২০৪ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৪৯৯। কমল করোনায় একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৩ জনের। গতকাল একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৪৭।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় ওই ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় পর্বে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের নেমেছিল পাঁচশোর নীচে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৪৯৯। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৬৮৬ জন। সোমবারের হিসেবে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৩০৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৫৪। অ্যাক্টিভ কেস ছিল ৪ লক্ষ ২ হাজার ১৮৮। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪৫৭।
অন্যদিকে আজকের হিসেবে বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ লক্ষ ১ হাজার ৯০ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৩২ লক্ষ ৭৬ হাজার ২১১।
তৃতীয় ঢেউ আটকাতে ভ্যাকসিনই একমাত্র উপায়। একথায় শুরু থেকে বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংযুক্ত হয়েছে আরও একটি ভ্যাকসিন। জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া এ কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানি গত ৫ অগাস্ট তাদের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকা পঞ্চম ভ্যাকসিন হিসেবে এ দেশে ছাড়পত্র পেল। এর আগে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি, মডার্না ভ্যাকসিন ভারতে ছাড়পত্র পেয়েছে। এবার অনুমোদন পেল জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারত নিজের ভ্যাকসিন সম্ভারের বিস্তার ঘটাল! জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেল। ভারতের কাছে এখন পাঁচটি ইইউএ টিকা রয়েছে। আর এরফলে আমাদের দেশের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।