অযোধ্যা: কয়েকদিন আগেই ধুমধাম করে উদ্বোধন হয়েছে রামমন্দিরের (Ram temple)। তারপরেই সেখানে কার্যত ভক্তদের ঢল নেমেছে। উদ্বোধনের পরেরদিন এমন অবস্থা হয়েছিল যে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল রামলালা দর্শন। তারপর বিস্তর কড়া পদক্ষেপের মাধ্য়মে সামলানো হয়েছে ভিড়ের চাপ। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ফের কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো হয়েছে অযোধ্যাকে।    


বৃহস্পতিবার থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে (Ram Mandir Ayodhya)। পুলিশে, সিআরপিএফে ছয়লাপ হয়ে গেছে রামনগরী। বসানো হয়েছে নাকা চেকিং। চলছে ড্রোনে নজরদারি। 


আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) জাতীয় ছুটি দেশে। এর ফলে অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনে বাড়তে পারে ভক্তদের চাপ। তাই আগের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ক্রাউড কন্ট্রোলে বিশেষ নজর দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।


সোমবার ছিল প্রাণ প্রতিষ্ঠার মেগা ইভেন্ট। তার পরের দিনই রামলালাকে দর্শনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। রামনগরীতে এখন কড়া নিরাপত্তা


সুরামারি চকে নজরদারি চলছে। সুরামারি চক থেকে অযোধ্যার সবকটা দিকে যাওয়া যায়। এটাই হচ্ছে মূল রাস্তা। সেই কারণেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সুরামরি চকে। একই ছবি পরিক্রমা মার্গেও। গোটা এলাকাটা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কোনও গাড়ি ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না আগেরদিন রাত থেকেই।


অযোধ্যার পুরনো গেটেও কড়া পুলিশি প্রহরা রয়েছে। অযোধ্যা স্টেশনের রাস্তায় চলছে পুলিশের টহলদারি। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং। আপাতত অযোধ্যায় কোনও ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে অযোধ্যামুখী বাসও। সরযূ নদীতেও নৌকায় করে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। 


লতা মঙ্গেশকর চক অন্যতম জনবহুল এলাকা। এখানেই সবচেয়ে বেশি এসে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। চলে তাঁদের ভক্তি ভজনা। আর তাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা এখানেই। কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন রামলালাকে দর্শন করতে। তাঁদের পুলিশ বেষ্টনী করে নিয়ে যাচ্ছে মন্দির পর্যন্ত। সঙ্গে CRPF-এর টহলদারি। নজরদারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যামে। যাতে মন্দিরের সামনে বেশি ভিড় না হয়, তাই হনুমান চক থেকেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। কোনও গাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


রাম জন্মভূমি মন্দির ট্রাস্টের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি ভক্ত রামলালাকে দর্শন করেছেন। রামনগরীতে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে, মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


আরও পড়ুন: নজরদারি ১০০০ সিসিটিভি ক্যামেরার! কেমন নিরাপত্তায় মুড়ল দিল্লি?