Twitter Grants Corona Fund : ভারতে করোনা মোকাবিলায় ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য ট্যুইটারের
ট্যুইটারের CEO জ্যাক প্যাট্রিক ডর্সি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, এই অনুদান তিনটি NGO-কে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি হল- CARE, AID INDIA এবং Sewa International USA। CARE-কে ১০ মিলিয়ন ডলার এবং AID INDIA এবং Sewa International USA-কে আড়াই মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন : গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও, ভারতে করোনা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। করোনা মোকাবিলায় এর আগে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গুগল, মাইক্রোসফটের মতো সংস্থা। এবার এগিয়ে এল মাইক্রোব্লগিং সংস্থা ট্যুইটার। সংস্থার তরফে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করা হয়েছে।
ট্যুইটারের CEO জ্যাক প্যাট্রিক ডর্সি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, এই অনুদান তিনটি NGO-কে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি হল- CARE, AID INDIA এবং Sewa International USA। CARE-কে ১০ মিলিয়ন ডলার এবং AID INDIA এবং Sewa International USA-কে আড়াই মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "Sewa International একটি হিন্দু মতে বিশ্বাসী, মানবিক ও অলাভজনক সংস্থা। Sewa International " হেল্প ইন্ডিয়া ডিফিট কোভিড-১৯ ক্যাম্পেন" চালাচ্ছে। সেই ক্যাম্পেনে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ ও সিপ্যাপ কেনা যাবে অনুদানের টাকায়। এইসব সামগ্রী সরকারি হাসপাতাল এবং কোভিড কেয়ার সেন্টার ও হাসপাতালে দেওয়া হবে।"
Sewa International-এর মার্কেটিং ও ফান্ড ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ খাড়কেকর বলেন, ডর্সিকে এই অনুদানের জন্য ধন্যবাদ।
Sewa USA-র সদর দপ্তর হাউটনে। উল্লেখ্য, ভারতের জন্য কোভিড ত্রাণ তহবিলে এপর্যন্ত ১৭.৫ মিলিয়ন ডলার তুলেছে সংস্থা।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছে CARE নামক সংস্থাটি। ট্যুইটারের তরফে বলা হয়েছে, এই সংস্থাকে যে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে ভারতে সরকারকে কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি, অক্সিজেন, PPE কিট, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অন্যান্য জরুরি সামগ্রী কিনতে ব্যবহার করা হবে। এবং সবাই যাতে ভ্যাকসিন পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে।
অন্যদিকে AID-কে যে অনুদান দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে পিছিয়েপড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে কোভিডের লক্ষণ, কোভিড হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থার বিষয়গুলি দেখা হবে। এছাড়া গ্রাম্য এবং কম আয় রয়েছে এমন মানুষের মধ্যে লকডাউনে জীবন-ধারণ, অক্সিজেন, অক্সিমিটার, থার্মোমিটারের মতো সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে।