WB Election 2021: রাজীবের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ, এবার সরব তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা
বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে বাগ্যুদ্ধ। তদন্তে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এই অবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এবার নদীবাঁধ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক। আর এনিয়ে ভোটের মুখে শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ায়।
সুনীত হালদার, হাওড়া: সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ। এবার নদীবাঁধ মেরামতিতে প্রাক্তন সেচমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা । যদিও তা মানতে চাননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে বাগ্যুদ্ধ। তদন্তে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এই অবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এবার নদীবাঁধ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক। আর এনিয়ে ভোটের মুখে শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ায়।
ফি বছর বর্ষাকালে এই ছবিই দেখা যায় আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসে যায় ঘর-বাড়ি, চাষির জমি। মানুষের দুর্ভোগ রোধে বাঁধের মেরামতিও হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও অবস্থার বদল হয়নি বলে অভিযোগ। সে জন্য সরাসরি প্রাক্তন সেচমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, সংস্কারের নামে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘সেচমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তাঁর পছন্দমতো ঠিকাদার এবং অফিসারদের দিয়ে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করিয়েছেন, দুর্নীতির কারণে উদয়নারায়ণপুরে বন্যা রোখা যায়নি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী থাকাকালীন নিম্ন দামোদর এলাকায় যেসব নদীবাঁধ মেরামতি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করা হোক ৷’’
তবে প্রাক্তন সতীর্থর তোলা এই দাবি মানতে চাননি প্রাক্তন মন্ত্রী। বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘আমি এসব কথার উত্তর দিই না, কে কী রকম আগামী দিনে ভোটের রায়ে প্রমাণ হবে ৷’’ ২০১১ সালে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১২ সালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেচ দফতরের দায়িত্ব রাজীবের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ পর্যন্ত সেচ দফতরের দায়িত্ব ছিল তাঁরই হাতে। ২০১৬ সালে তৃণমূল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ফের সেচমন্ত্রী হন রাজীব। এই দফায় ২০১৮ পর্যন্ত সেচ দফতরের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে।
এরপর আচমকাই সেচ দফতর থেকে সরিয়ে তাঁকে অনগ্রসর উন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে দলবদল করেন রাজীব। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই, তাঁর বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল আরও এক দুর্নীতির অভিযোগ।