Stealth Omicron: বিশ্বে দ্রুত ছড়াচ্ছে নয়া রূপের 'চোরা ওমিক্রন', RT-PCR টেস্টেও অধরা এই প্রজাতি
Coronavirus Stealth Omicron: জিনোমিক সিকোয়েন্সসিং-এ ধরা পড়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনটি। বলা হচ্ছে, এই 'চোরা ওমিক্রন'কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না।
নয়া দিল্লি: ঝড়ের যেন শেষ নেই। ব্রিটেনের তরফে জানান হয়েছে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন আবহের মাঝেই প্রায় ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের আরও একটি উপপ্রজাতি। যাকে- 'চোরা ওমিক্রন' নাম দিয়েছে গবেষকরা। জিনোমিক সিকোয়েন্সসিং-এ ধরা পড়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনটি। বলা হচ্ছে, এই 'চোরা ওমিক্রন'কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নয়া বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে ফের চিন্তা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন।
ব্রিটেন ছাড়াও বি.২ সাব-স্ট্রেনটি ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেনে মিলেছে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের তিনটি উপ-স্ট্রেন রয়েছে -- BA.1, BA.2 এবং BA.3। সেখানে বলা হয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে BA.1 সাব-স্ট্রেন প্রভাবশালী আর BA.2 সাব-স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ডেনমার্কে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের বি.২ সাব-স্ট্রেনটি। গত ডিসেম্বরে যেখানে ডেনমার্কের মোট ওমিক্রন আক্রান্তদের ২০ শতাংশ রোগী বি.২ আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহে সেই শতাংশের হার ৪৫ হয়েছে। অ্যাক্টিভ কেসের বেশিরভাগই এই স্ট্রেনে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
'চোরা ওমিক্রন' কেন উদ্বেগের বিষয়?
গবেষকদের মতে, BA.2 সাব-স্ট্রেন BA.1-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ৩২টি স্ট্রেন তৈরি করেছে। যেহেতু এই ভাইরাসটি আরএনএ ভাইরাস। তাই এর মিউটেশন ক্ষমতাও অনেক বেশি। গবেষকদের দাবি আরও ২৮টি নতুন স্ট্রেন তৈরি হতে পারে। গবেষকরা বলছেন যে BA.1-এর একটি মিউটেশন রয়েছে- “S” বা স্পাইক জিনে পরিবর্তন এসেছে। আরটি পিসিআর পরীক্ষায় যা দেখে Omicron-কে সহজেই সনাক্ত করা যায়। বরং BA.2 তে -একই মিউটেশন নেই। ফলে আরটি পিসিআর টেস্টে এইও স্ট্রেনকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না এখনও। যা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
তাহলে কী অধরাই থেকে যাবে এই স্ট্রেন?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, BA.1 সাব-স্ট্রেন কখনও কখনও RT-PCR পরীক্ষায় ধরা না পড়লেও এই নয়া স্ট্রেন একেবারেই অধরা থাকছে। এই “ল্যাব আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হল গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা"। কিন্তু কমপক্ষে ৩০ বার অভিযোজন হয়েছে এই নয়া স্ট্রেনের। এমন কোনও কিট নেই যা দিয়ে সহজেই এই রূপকে চিহ্নিত করে আলাদা করা যাবে। যদিও এ বিষয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।