(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WHO on Covid19: ভারতে করোনার দাপট ! ধর্মীয়-রাজনৈতিক জমায়েতকে দায়ী করছে WHO
দেশে কোভিডের 'লাগামছাড়া' পরিস্থিতির জন্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েতকেই দায়ী করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সম্প্রতি ভারতে করোনার 'গতিবিধি' নিয়ে মূল্যায়ন করে 'হু'। তাদের সাপ্তাহিক মহামারী বিষয়ক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এই ধারণা।
জেনেভা: দেশে কোভিডের লাগামছাড়া পরিস্থিতির জন্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েতকেই দায়ী করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সম্প্রতি ভারতে করোনার 'গতিবিধি' নিয়ে মূল্যায়ন করে 'হু'। তাদের সাপ্তাহিক মহামারী বিষয়ক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এই ধারণা।
দেশে প্রতিদিনের কোভিড গ্রাফ কমলেও চিন্তা কমেনি। অক্সিজেন, হাসাপাতালের বেডের অভাবে নিত্যদিন করোনায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ওষুধ, ভ্যাকসিনের চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। যার ফলে সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরা। সম্প্রতি দেশের এই করোনার দাপট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে WHO।
মঙ্গলবার মহামারী নিয়ে সাপ্তাহিক পর্যবেক্ষেণে ভারত সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। যেখানে দেশে কোভিড দাপটের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, SARS-CoV-2 ভ্যারিয়েন্টস আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে দেশে। চিন্তা বাড়িয়েছে 'সোশ্যাল মিক্সিং'। যেখানে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েতের ফলে সহজেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এরজন্য ভাইরাসের B1617, B117 ভ্যারিয়েন্টকেই দুষছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।WHO-এর কথায়, সামাজিক দূরত্ব ও কোভিড প্রোটোকোল না মানার ফলেও দ্রুত গতিতে
ছড়িয়েছে কোভিড গ্রাফ।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেনি হু-এর কমিটি। সংস্থার তরফে ভারতের B1617 ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উষ্মা প্রাকশ করেছে SARS-CoV-2 ভাইরাস ইভোলিউশন ওয়ার্কিং গ্রুপ। তাঁরা জানিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবরেই ভারতে ভাইরাসেই B1617 ভ্যারিয়েন্ট দেখা যায়। যা এখন বিশ্বের কাছে উদ্বেগের কারণ। ব্রিটেন (B117), দক্ষিণ আফ্রিকা (B1351), ব্রাজিলের (P1) ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও চিন্তায় রয়েছে WHO।
কেন B1617 নিয়ে ভাবছে 'হু' ? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। বিশ্বের ৪৪টি দেশে ইতিমধ্যেই প্রভাব বিস্তার করেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কোভিড আক্রান্তের ০.১ শতাংশ 'গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা' (GISAID)-য় আপলোড বা শেয়ার করা হয়। মূলত, কোভিড ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ধরতেই এই ডেটার প্রয়োজন হয়।
ইউএন হেলথ এজেন্সি জানিয়েছে, চলতি বছরে এপ্রিলের শেষের দিকেই B16171 ও B16172 ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানতে পারে GISAID। গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে আরও দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তবে ভারত বাদে ব্রিটেনেও B1617 ভ্যারিয়েন্ট দেখা যাচ্ছে।