Omicron Sub Variant: ব্রিটেনে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট, অতি সংক্রামক স্ট্রেন,সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য বিভাগের
চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ব্রিটেনে ৪০০ জনের বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত করেছেন। তবে স্বস্তির খবর একটাই যে, হেল্থ এজেন্সির বক্তব্য অনুযায়ী, দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ গুরুতর নয়।
Omicron sub-variant: করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বেই ত্রাসের সঞ্চার করেছে। ওমিক্রনে তিনটি স্ট্রেন রয়েছে-যার মধ্যে রয়েছে BA.1, BA.2 ও BA.3। ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত দাপট দেখিয়েছে BA.1। এরইমধ্যে BA.2 স্ট্রেন সংক্রমণের ঘটনাও সামনে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, BA.2 ওমিক্রনের সবচেয়ে দ্রুত সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (UK Health Security Agency UKHSA) চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ব্রিটেনে ৪০০ জনের বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত করেছেন। তবে স্বস্তির খবর একটাই যে, হেল্থ এজেন্সির বক্তব্য অনুযায়ী, দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ গুরুতর নয়। ইউকেএইচএসও এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছি যে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট, কিন্তু এর উপসর্গ জটিল নয়। তবে ইউকেএইচএসও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৪০০ জনের শরীরে BA.2 সংক্রমণ চিহ্নিত করা গিয়েছে, যা খুবই সংক্রামক।
বিট্রেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, এই স্ট্রেনের বিশেষ কোনও মিউটেশন নেই। যে কারণে একে খুব সহজেই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে আলাদা করা যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এই ভ্যারিয়েন্ট ইজরায়েলে দেখা গিয়েছিল। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যের খবর অনুসারে, ওই দেশে ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টে ২০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যদিও ব্রিটেনে স্পষ্টভাবেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, এই স্ট্রেন সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।
একটি রিপোর্ট অনুসারে, BA.2 স্ট্রেন সংক্রমণের হদিশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই পাওয়া গিয়েছে। ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, চিন , ভারত ও সিঙ্গাপুরে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে চলছে করোনার দাপট। বিশ্বের ২০০-র বেশি দেশে অতিমারীর প্রকোপ। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩৪ কোটি ৯৮ লক্ষ। সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ২৭ কোটি ৮১ লক্ষ। মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ৬ কোটি ৬০ লক্ষ। গত তিনদিনে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটির বেশি। প্রত্যেকদিন মৃতের সংখ্যা গড়ে ৯ হাজার।