মানবধিকার ও ধর্মীয় স্বাধিকার রক্ষার জন্য ভারতে একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে: আমেরিকা
অভিযোগ উঠেছে এই আইন ‘অসংবিধানিক’ এবং ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’।
ওয়াশিংটন: ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ অনুযায়ী এই তিন প্রতিবেশী দেশের মুসলিম ‘শরণার্থীদের’ নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বিধান রাখা হয়নি। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। মোদি-শাহর নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। সংবাদমাধ্যমেও চলছে তর্ক। অভিযোগ উঠেছে এই আইন ‘অসংবিধানিক’ এবং ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’। এবার এই ইস্যুতে সরকারি ভাবে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানাল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।
মানবধিকার ও ধর্মীয় স্বাধিকার রক্ষার জন্য ভারতে একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জানিয়ে দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ভারতে একটি আইন নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। বিষয়টি এখন আদালতের অধীনে রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই আইনের বিরোধিতা করছে। সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে তর্ক চলছে। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা এই বিষয়টিকে শ্রদ্ধা করি।”
এরপর কাশ্মীর ইস্যু, নাগরিকত্ব আইন এবং মুসলিমদের ওপর নরেন্দ্র মোদি জমানার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন দেশের পক্ষ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতে একটি সংবেদনশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ওপরও তারা আস্থা রাখেন বলে জানিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বে ভারত কি বিপথে চালিত হচ্ছে? আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জাননো হয়, না তারা এমনটা মনে করে না।