এক্সপ্লোর
Advertisement
পেশোয়ারের জেলে বন্দিদের মারে জখম প্রেমিকার টানে পাকিস্তানে গিয়ে দোষী ভারতীয় যুবক, দাবি আইনজীবীর
পেশোয়ার: পেশোয়ারের জেলে গত দু মাসে ২ বার সহবন্দিদের হাতে মার খেয়েছেন জাল পাকিস্তানি পরিচয়পত্র রাখায় সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় যুবক, মুম্বইয়ের বাসিন্দা হামিদ নেহাল আনসারি। ৩১ বছরের হামিদ অনলাইনে বন্ধু হওয়া এক পাক যুবতীর টানে প্রথমে মুম্বই থেকে আফগানিস্তান, তারপর সেখান থেকে পাকিস্তানে ঢোকেন। বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে ঢোকার অভিযোগে ২০১২ সালে কোহাটে গ্রেফতার হন তিনি। সামরিক আদালতের বিচারে জাল পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখায় দোষী ঘোষিত হামিদের তিন বছরের জেল হয়। ঠাঁই হয় পেশোয়ারের সেন্ট্রাল জেলে। সেখানে তাঁকে খুনের মামলার ফাঁসির আসামীদের সঙ্গে একই কুঠুরিতে রাখা হয়েছে বলে গতকাল পেশোয়ার হাইকোর্টে জানিয়েছেন হামিদের কৌঁসুলি কাজি মহম্মদ আনোয়ার।
‘দি ডন’-এর খবর, জেলের ভিতর হামিদের ওপর সহবন্দিদের হামলার কথা স্বীকার করেছেন জেল সুপার মাসুদুর রহমান। তবে এটা সামান্য ব্যাপার বলে দাবি তাঁর। রহমান বেঞ্চকে বলেন, নিরাপত্তার কারণেই অন্য বন্দিদের সঙ্গে সাধারণ সেলে হামিদকে রাখা যাবে না।
হামিদের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের ওপর ভবিষ্যতে কোনও হামলা হবে না, এই মর্মে আদালতে হলফনামা দিতে হবে সুপারকে। তবে পাক সংবাদপত্রের খবর, এমন কোনও লিখিত গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান সুপার।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় পুলিস ও গুপ্তচর সংস্থার হাতে ধরা পড়ার পর হামিদের কোনও খবর মিলছিল না। তাঁর মা ফৌজিয়া আনসারির দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত গত জানুয়ারিতে হাইকোর্টে জানানো হয়, তিনি পাক সেনার হেফাজতে রয়েছেন, বিচার চলছে সামরিক আদালতে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement