Netaji's 125th Birthday: সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে জার্মানিতে বিশেষ ডিনারে আমন্ত্রিত নেতাজির কন্যা
ইন্ডিয়া ইন জার্মানির টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছে এই বিশেষ আয়োজনের কথা। সেখানে জানানো হয়েছে যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ এই আমন্ত্রণে সম্মতি জানিয়েছেন।
বার্লিন: গোটা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) ১২৫তম জন্মবার্ষিকী (23 January)। কিন্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তো শুধু ভারতের নন, একজন বিশ্বনেতৃত্ব। আজ তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে জার্মানির ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফকে।
ইন্ডিয়া ইন জার্মানির টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছে এই বিশেষ আয়োজনের কথা। সেখানে জানানো হয়েছে যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ এই আমন্ত্রণে সম্মতি জানিয়েছেন। জার্মানির ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই ডিনারে আমন্ত্রিত অতিথি তালিকার নাম রাখা হয়েছে 'জয় হিন্দ'।
প্রসঙ্গত, ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর এবং তাঁর তৈরি করা আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে আজও স্মরণ করছেন দেশবাসী। আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নেতাজি সুভাষ আমাদের স্বাধীন ভারতের বিশ্বাস দিয়েছিলেন। আত্মবিশ্বাস, সাহসের সঙ্গে ব্রিটিশদের বলেছিলেন, স্বাধীনতা ভিক্ষা নেব না। নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন করব। এই মূর্তি স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতি গোটা দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আগামী প্রজন্ম, বর্তমান প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।’ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে একটি পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামের মহান যোদ্ধা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। আত্মবলে বলিয়ান হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেব। জয় হিন্দ-র মতো ধ্বনিও তুলেছিলেন মহান দেশনায়ক নেতাজী সুভাষ। আজ তাঁর ১২৫ তম জন্মদিন। ১৮৯৭-এ আজকের দিনেই কটকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতমাতার এই সুযোগ্য সন্তান। আইসিএস চাকরি ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জডিয়ে পড়া, কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া, মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে মতান্তরে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন; তারপর গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতে ইংরেজের চোখে ধুলো নিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের ময়দানে তাঁর অবতীর্ণ হওয়ার রোমাঞ্চকর কাহিনী সবারই জানা।