এক্সপ্লোর
Advertisement
তালিবান-ঘনিষ্ঠ মাদ্রাসাকে ৩০ কোটি টাকা অনুদান পাকিস্তানের
পেশোয়ার: আফগান তালিবানের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ জড়িত বলে অভিযোগ থাকা একটি মাদ্রাসাকে ৩০ কোটি (পাকিস্তানি) টাকা বরাদ্দ করল পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকার। এই মাদ্রাসাটি ‘জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে কুখ্যাত। কারণ, এই মাদ্রাসা থেকেই অতীতে ‘প্রশিক্ষিত’ হয়েছে প্রাক্তন প্রধান মোল্লা ওমর সহ বহু তালিবান নেতা।
গত সপ্তাহে এই প্রদেশের মন্ত্রী শাহ ফরমান জানান, প্রতিষ্ঠানের খরচ চালানোর জন্য প্রতিবছর ৩০ কোটি টাকা পাবে নওশেরার দারুল উলুম হক্কানিয়া। তিনি যোগ করেন, ওই অঞ্চলের শাসক দল প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার সেখানকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে হানা দেবে না। উল্টে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান ফরমান।
নওশেরা জেলার আকোরা খট্টকে অবস্থিত এই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রের তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন তালিবান প্রধান মোল্লা ওমর সহ শীর্ষ তালিবান নেতারা। এই মাদ্রাসা থেকেই সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছে ওমর। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন হক্কানি, আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) নেতা আসিম উমর, নিহত আফগান তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর। প্রসঙ্গত, গত মাসেই মার্কিন ড্রোন হানায় মারা যায় মনসুর। এই কারণে, এই মাদ্রাসাকে ‘জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয়’ বলে ডাকা হয়।
এই বিতর্কে প্রশ্ন করা হলে, ধর্মীয়-বিষয়ক মন্ত্রী হাবিবুর রহমান জানান, প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খট্টাক হক্কানিয় মাদ্রাসাগুলিতে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জামাত-এ-ইসলামি নেতা হাবিবুরের মতে, দারুল উলুম হক্কানিয়া হল দেশের অন্যতম পুরনো এবং বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। তাই এর সাহায্য প্রাপ্য।
১৯৪৭ সালে তৈরি হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মাথা হল জমিয়ত উলেমা-এ-ইসলাম নেতা মৌলানা সামি উল-হক। এরসঙ্গেই প্রায় ৪০টি গোষ্ঠীর ছাতা-সংগঠনের চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছে মৌলানা সামি। এই ছাতা সংগঠনের অন্যতম সদস্য হল হাফিজ সঈদের জামাত-উদ দাওয়া।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বাংলা
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement