Gujrat: ক্ষতিকরক রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে ঘুঁটে দিয়ে বাড়ি ঢাকুন! জানাল গুজরাতের এক আদালত
Viral News: আদালতের দেওয়া আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, "পৃথিবীতে যেদিন একটা গো-হত্যাও হবে না সেদিন পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা গোরক্ষার কথা বললেও তা বাস্তবায়িত হয় না।
আমদাবাদ: দেশে গরু রক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, এই মর্মে এবার একটি বেনজির মন্তব্য করল গুজরাত আদালত। গুজরাটের তাপি জেলার একটি দায়রা আদালতের বিচারক জোর দিয়েই বলেন যে গোবর দিয়ে ঘর লেপে রাখুন কিংবা ঘুঁটে দিয়ে ঘর ঢাকুন। তিনি এও বলেন, গরু রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
এছাড়াও, গরুর প্রস্রাব অনেক দুরারোগ্য রোগ নিরাময় করতে পারে। তাপি জেলার দায়রা বিচারক সমীর ব্যাস গত বছরের নভেম্বরে দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতে একথা জানান। ২২ বছর বয়সি এক যুবা বিভিন্ন আইন লঙ্ঘন করে গুজরাত থেকে মহারাষ্ট্রে গরু এবং ষাঁড় চালান করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, গো হত্যার বিষয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। বিচারক জানান যে, গরু শুধু কোনও প্রাণীই নয়, গরু আমাদের মা। আদালতের দেওয়া আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, "পৃথিবীতে যেদিন একটা গো-হত্যাও হবে না সেদিন পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা গোরক্ষার কথা বললেও তা বাস্তবায়িত হয় না। গো হত্যা এবং গরু চালানের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। একটি সভ্য সমাজের জন্য কলঙ্ক।"
আরও পড়ুন, কেমিস্ট্রির প্রশ্নপত্রে বিকোচ্ছে গরম গরম খাস্তা কচুরি! মজার কমেন্টে মাতল নেটপাড়া
বিচারক বলেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিবাহিত হলেও গোহত্যার ঘটনা কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, "গরু ধর্মের প্রতীক। গরু-ভিত্তিক জৈব চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত খাদ্য আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে গোবর দিয়ে তৈরি ঘরে কোনও ক্ষতিকারক রশ্মি প্রবেশ করতে পারে না। গোমূত্র অনেক দুরারোগ্য রোগ নিরাময় করতে পারে।" তিনি বলেছিলেন যে গরুগুলি বিপদের মধ্যে রয়েছে কারণ আজ "যান্ত্রিক কসাইখানাগুলিতে" গো হত্যা করা হচ্ছে।
মানুষকে গরুর গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য, বিচারক কিছু সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃত করেন এবং বলেন "ধর্ম গরু থেকে জন্মায়" কারণ ধর্ম একটি 'বৃষভ' (ষাঁড়) আকারে, যা গরুর পুত্র।