কলকাতা: থুতু ফেলা খারাপ না ভাল, এই নিয়ে অনেক মত রয়েছে। কেউ বলেন থুতু ফেললে মুখের ময়লা বার করে দেওয়া যায়। আবার কেউ বলেন থুতু ফেলা একটি বাজে অভ্যাস। কেউ কেউ মনের ধারণা থেকেই থুতু ফেলেন। আসলে পরিস্কার থাকতে চান। কিন্তু থুতু ফেলা যে আদতে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির মধ্যেও পড়ে, তা কি জানা আছে ? এই নিয়ে বিস্তর গবেষণাও করেছেন প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রস কুম্বার। তার গবেষণার নানা দিক জানলে একটু আশ্চর্য হতে হবে বৈকি।
ইউরোপে থুতু ফেলার অভ্যাস
প্রসঙ্গত, পশ্চিমী বিশ্বে একটি সময় থুতু ফেলাকে স্বাভাবিক কাজ বলে মনে করা হত। অর্থাৎ থুতু ফেলা মানে খারাপ অভদ্রের মতো একটি কাজ - তেমনটা মোটেই ভাবা হত না। ভাবতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। লোক দেখিয়ে প্রকাশ্যে থুতু ফেলাতেও কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে ১৯ শতক থেকে এই অভ্যাসে পরিবর্তন আসে। থুতু ফেলাকে খারাপ চোখে দেখা শুরু হয়। তখন থেকেই এই অভ্যাসে সংযম আসে।
দক্ষিণ এশিয়ায় থুতু ফেলার সংস্কৃতি
দক্ষিণ এশিয়া বলতেই অন্যতম প্রধান দেশ ভারত। তবে ভারত ছাড়াও বেশ কিছু দেশ রয়েছে এই অংশে। আর সেই দেশগুলিতে থুতু ফেলার অভ্যাসও রয়েছে। এই অভ্যাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতিতে বদলে গিয়েছে মনে করেন অধ্যাপক রস কুম্বার। তিনি তাঁর পালগ্রেভ হ্যান্ডবুক অব ক্রিমিনোলজি ও গ্লোবাল সাউথ বইতে এই নিয়ে বিশদে লিখেছেন। ভারতসহ মোট ছয়টি দেশে তিনি ভ্রমণ করেন। প্রতিটি দেশে এই অভ্যাসের কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেন।
ভারতে থুতু ফেলার আসল কারণ কী ?
ভারতে প্রকাশ্যে থুতু ফেলার পিছনে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্যের ভূমিকা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়াতেও একই অভ্যাস রয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতে পান, গুটখা ও জর্দাজাতীয় খাবার খেয়ে প্রকাশ্যে থুতু ফেলার প্রবণতা রয়েছে।
‘প্রকাশ্যে নাক ঝাড়াই বা কীসের ভাল ?’
চিনে থুতু ফেলার বড় কারণ নিজেকে পরিস্কার রাখা। বেশিরভাগ ব্যক্তিই অধ্যাপককে জানিয়েছেন এমনটাই। তবে পাশাপাশি রস কুম্বার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইউরোপীয়রা প্রকাশ্যে নাক ঝাড়েন। এই অভ্যাসকেও এশিয়ার অনেকে ভাল চোখে দেখেন না। রুমালে নাক ঝেড়ে সেটা পকেটে ঢোকাতে দেখলে অনেকেই নাক সিঁটকে ওঠেন।