Unknown Facts: বরফ গলতেই চক্ষুচড়কগাছ! ভারতের কঙ্কাল হ্রদ কেন আজও রহস্যে ঘেরা জানেন?

Skeleton Lake: এই হ্রদটিতেই পাওয়া গিয়েছে কয়েকশো কঙ্কাল। লেকটির নাম 'রূপকুণ্ড লেক'

Continues below advertisement

কলকাতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত একটি হ্রদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেখানে ২০০ মানুষের কঙ্কাল খুঁজে পাওয়া যায়। বাতাসের বেগে খবরটি ছড়িয়ে গেল বিশ্বজুড়ে। কৌতূহলের কেন্দ্রে চলে এলো কঙ্কাল হ্রদ। গবেষক আর বিশ্লেষকদের একের পর এক তত্ত্ব আর মতামত ভুল প্রমাণিত হয়। পৃথিবীর সেরা রহস্যেময় হ্রদটির  এখনো কোনো সমাধান খুঁজে পায়নি কেউ। 

Continues below advertisement

সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রূপকুণ্ড হ্রদটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার ফুট ওপরে। হ্রদটির চারপাশে ও বরফের নিচে মানুষের কঙ্কালে ভরা। ১৯৪২ সালে ‘কঙ্কাল হ্রদটি’ আবিষ্কার করেন একজন টহলরত ব্রিটিশ বনরক্ষী। জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন ব্রিটিশ পেট্রোল বাহিনী এ পথ ধরে এগোচ্ছিল তখন হঠাৎ চোখ আটকে যায় তাদের। মানুষের খুলি আর শরীরের হাড় দেখতে পেয়ে থামে তারা। ২০০ কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছিলেন।                                                            

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, হ্রদটি আবিষ্কারের ৫০ বছরের বেশি সময় পার হলেও কঙ্কালের বিষয়টি এখনো অজানা। নৃবিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে একাধিক গবেষণাও করেছেন। এখন পর্যন্ত হ্রদটিতে ৬০০ থেকে ৮০০টি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। পর্যটক আকর্ষণের জন্য স্থানীয় সরকার হ্রদটিকে ‘রহস্যজনক হ্রদ’ আখ্যা দিয়েছে।

অনেকে বলেন ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে মানুষ জানত এই কঙ্কালগুলোর কথা। কারা এই হতভাগ্যরা? কীভাবে তারা মারা গেল? যুগের পর যুগ কৌতূহলী মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। এই হ্রদটির উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন, মূর্তির সঙ্গে পূজিত হয় ইঁদুর, রাজস্থানের এই মন্দিরের কাহিনী জানেন?

আরেকটি স্থানীয় উপাখ্যানও রয়েছে। বলা হয়েছে, এটি একটি সমাধিস্থল হতে পারে। মহামারিতে মারা যাওয়ার পর তাঁদের সেখানে সমাহিত করা হয়েছে। তবে স্থানীয় গ্রামগুলোতে একটি লোকসংগীত মানুষের মুখে মুখে বাজে। সেই লোকসংগীতে নন্দ দেবী নামের এক দেবীর কথা বর্ণনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই দেবী একটি শক্তিশালী ঝড় সৃষ্টি করেন। সেই ঝড়ের কারণেই হ্রদে পড়ে লোকজন মারা যান।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola