Viral News: চার পা নিয়ে জন্মাল খুদে! মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের ঘটনায় সাড়া
Baby Girl With Four Legs: দু-জোড়া পা নিয়ে জন্মাল খুদে। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের ঘটনা। গত বুধবার গ্বালিয়র শহরের কমলা রাজা হাসপাতালের নারী ও শিশুরোগ বিভাগে আরতী কুশওয়াাহা নামে এক প্রসূতি ওই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
গ্বালিয়র: দু-জোড়া পা (four legs) নিয়ে জন্মাল খুদে (new borns)। মধ্যপ্রদেশের (madhya pradesh) গ্বালিয়রের (gwalior) ঘটনা। গত বুধবার গ্বালিয়র শহরের কমলা রাজা হাসপাতালের নারী ও শিশুরোগ বিভাগে আরতী কুশওয়াাহা নামে এক প্রসূতি ওই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে হাসপাতালের সুপার-সহ ডাক্তারদের একটি টিম সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, সে শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ (physically normal)। কিন্তু নবজাতকের চারটি পা দেখে কিছুটা হকচকিয়ে যান পরিবারের লোকজন, সাড়া পড়ে যায় হাসপাতালেও।
যা জানা গেল...
সংবাদসংস্থা এএনআই চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মেডিক্যাল সায়েন্সের পরিভাষায় একে বলে 'ইশকিয়োপ্যাগাস' বা Ischiopagus। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেলে তা দুই প্রান্তে বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে, ওই সদ্যোজাতের নিম্নাঙ্গে দুটি অতিরিক্ত পা তৈরি হয়েছে। তবে সেগুলি অকেজো থাকবে, জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। সূত্রের খবর, হাসপাতালের তরফে সদ্যোজাতের আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আর কোনও শারীরিক ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা। সে রকম কিছু না থাকলে অতিরিক্ত দুটি পা অপারেশন করে বাদ দেওয়া হবে। চিকিৎসকদের আশা, সার্জারির পর সদ্যোজাত শিশুটি স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবে। তবে সে জন্য পরীক্ষার ফলাফল জানা দরকার।
এখন কী অবস্থা...
হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, আপাতত শিশুরোগ বিভাগের স্পেশ্যাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে নবজাতককে। তার শারীরিক অবস্থার দিকে সারা ক্ষণ নজরদারি করা হচ্ছে। আপাতত সে সুস্থ। তবে অকেজো অতিরিক্ত পা দুটি বাদ দিয়ে দিতে পারলে ভবিষ্যতে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছন্দে জীবন কাটাতে পারবে বলে মনে করেন ডাক্তাররা। সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চেই দুটি মাথা, তিনটে হাত নিয়ে জন্মেছিল এক সদ্যোজাত। সেটি ছিল মধ্যপ্রদেশের রতলাম শহরের ঘটনা। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে সদ্যোজাতর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল ঠাকুরপুকুরের। সেখানকার এক নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় মৃতের আত্মীয়রা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। দশমীর দিন ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা সুপর্ণা দত্ত কস্তুরি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, জন্মের পর সুস্থই ছিল সদ্যোজাত। কিন্তু একাদশীর বিকেলে আচমকা সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানান নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ওইদিনই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর। এরপরই ভাঙচুর করা হয় নার্সিংহোম। মৃত সদ্যোজাতর বাবা বলেন, 'সকালেও দেখেছিলাম সুস্থ ছিল। তারপর নার্সিহোম থেকে বলল অবস্থা খারাপ। এসে দেখি আর নেই।'
আরও পড়ুন:নবান্নে মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা-অমিত, ওদিকে নদিয়ায় ঝড় তুলতে তৈরি অভিষেক