Dakshineswar: কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী মায়ের বিশেষ পুজো, সন্ধ্যায় ধূপারতি
Dakshineswar Kali Temple: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব, তিন ধারার পুজোই এক সঙ্গে ঘটে, যা আর কোথাও দেখা যায় না।
ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: আজ কালীপুজো (Kalipuja)। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে (Dakshineswar Kali ) ভবতারিণী মায়ের (Bhabatarini Maa) পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের এই মন্দিরের কালীপুজো ১৬৯ বছরে পড়ছে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব, তিন ধারার পুজোই এক সঙ্গে ঘটে, যা আর কোথাও দেখা যায় না। এই ত্রিবেণী সঙ্গম ঘিরে আজও একই প্রাঙ্গণে দেবী কালীর পুজো হয়ে শাক্ত মতে, বৈষ্ণব মতে রাধাকৃষ্ণের পুজো। আর ১২ টি শিবমন্দিরে হয় শৈব ধারার শিব আরাধনা।
এদিন, ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর মা ভবতারিণীর পুজো। তারপর ধূপ আরতি। আজ সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন করা হয়েছে। ১৮৫৫ সালে রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনস্থলে পরিণত হয় এই মন্দির। রামকৃষ্ণের সাধক সত্ত্বা এখানে পরিপূর্ণতা লাভ করে।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী৷ জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন৷ তিনি অসুখ বিনাশিনী৷ মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি৷ নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার৷ যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা৷
আরও পড়ুন, কালী দিগম্বরী, শক্তির আধার, বঙ্গদেশের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, আজ রাজ্যজুড়ে সেই মাতৃশক্তির আরাধনা
বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক৷ যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন৷ মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন৷ শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক৷ ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী৷