Rath Yatra 2024 : অক্ষয় তৃতীয়ায় হল পুরীর রথনির্মাণের সূচনা, এবার কবে রথযাত্রা?
Rath Yatra 2024 Date : পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার তিনটি আজ্ঞামালা বহন করে আনেন তিন পান্ডা। জগন্নাথ দেবের অনুমতি নিয়ে শুরু হয় রথ তৈরির কাজ।
আষাঢ় মাসে বাঙালির প্রিয় উৎসব রথ যাত্রা। এদি থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে যায় দুর্গাপুজোর। আর অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় রথযাত্রা প্রস্তুতি। পুরীর মন্দিরে এই তিথিতেই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয়। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পুণ্য তিথিতে কোনও শুভকার্য শুরু করলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। সেই ভাবনা থকেই হয়ত অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই পুরীতে রথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অন্যান্য কৃষ্ণধাম ও জগন্নাথ মন্দিরের মতোই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ২১ দিন ধরে চন্দনযাত্রার শুরু হয়। এদিন থেকেই শুরু হয় রথ তৈরি। শেষ হয় রথযাত্রার একদিন আগে। পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার তিনটি আজ্ঞামালা বহন করে আনেন তিন পান্ডা। জগন্নাথ দেবের অনুমতি নিয়ে শুরু হয় রথ তৈরির কাজ।
পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এই রথযাত্রায় অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ পুরীধামে আসেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় জগন্নাথধাম নীলাচলে। মূলত আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই সকাল ৪:২৬ থেকে। ৮ জুলাই সকাল ৪:৫৯ এ শেষ হবে তিথি। এমন পরিস্থিতিতে, উদয় তিথি অনুসারে, জগন্নাথ রথযাত্রা হবে ৭ জুলাই ।
সৈকত-শহর পুরীর রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন নানা কিংবদন্তী। অন্যান্য অনেক জায়গাতেই এখন মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। তবুও পূণ্যভূমি পুরীর মাহাত্ম্য স্বতন্ত্র। জগন্নাথদেবের প্রসাদকে বলা হয় মহাপ্রসাদ। বিশেষ বিশেষ দিনে প্রায় এক লক্ষ ও রথযাত্রার সময় প্রায় ১০ লক্ষ লোক মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। এখানে কখনও প্রসাদ উদ্বৃত্ত থাকে না বা কম পড়ে না। জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রান্নাঘর মনে করা হয়।
পুরীর রথ নির্মাণে যুক্ত থাকবেন প্রায় ২০০ জন মানুষ । মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা বন বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাঠের সিংহভাগ পেয়েছি। নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে একটি আনুষ্ঠানিক পুজো করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
ইসকনে ময়ূরপঙ্খী নৌকোয় বিহারে বেরোলেন রাধামাধব, চন্দনে চর্চিত হয়ে 'স্বস্তি পেলেন' ঈশ্বর
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।