নয়াদিল্লি: মাত্র এক সপ্তাহের অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। কিন্তু দু'মাস কাটতে চললেও এখনও পৃথিবীতে ফেরা হয়নি। সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর মহাকাশেই আটকে রয়েছেন। তবে এখনই সুনীতা এবং ব্যারিকে ফেরানো যাচ্ছে না বলে জানাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সুনীতা এবং ব্যারিকে মহাকাশে থাকতে হতে পারে বলে জানাল তারা। (Sunita Williams)


NASA জানিয়েছে, বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটি যদি উড়ানের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত না হয়, সেক্ষেত্রে মহাকাশেই থাকতে হবে সুনীতে এবং ব্যারিকে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন তাঁরা। বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটি যদি উড়ানে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফেরাতে ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থার সাহায্য নিতে পারে NASA. (NASA News)


গত ৫ জুন আট দিনের অভিযানে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেন সুনীতা এবং ব্যারি। ৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিকে নোঙর করেন তাঁরা। গোড়া থেকেই মহাকাশযানটিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। মহাকাশে গিয়ে মহাকাশযানটি থেকে হিলিয়াম চুঁইয়ে পড়তে থাকে। থ্রাস্টারও চালু করা যাচ্ছিল না। ফলে অভিযানের সময়সীমা শেষ হলেও পৃথিবীতে ফেরা হয়নি সুনীতা এবং ব্যারির। মহাকাশে কার্যত আটকে পড়েন তাঁরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আশ্রয় নিতে হয়। 


সেই থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গবেষণার কাজে হাত লাগানোর পাশাপাশি, মহাকাশযানটিকে পুনরায় চালু করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুনীতা এবং ব্যারি। থ্রাস্টারটিক মাঝে চালু করা গেলেও, উড়ানের জন্য এখনও প্রস্তুত নয় মহাকাশযানটি। ফলে সুনীতা এবং ব্যারিকে ফেরানো নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। কবে তাঁদের ফেরানো যাবে, এতদিন তা-ও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি NASA. অবশেষে বুধবার সংস্থার তরফে জানানো হল, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ পৃথিবীতে ফিরতে পারেন সুনীতা এবং ব্যারি।


এর মধ্যেই, SpaceX-এর Crew 9 অভিযানের আওতায় নভোশ্চরদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। কেনেডি স্পেস স্পেন্টার থেকে ফ্যালকন রকেট এবং Dragon Spacecraft-এ চাপিয়ে নভোশ্চরদের মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে সুনীতা এবং ব্যারিকে ফেরানো না গেলে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভিড় সামলানো যাবে না বলে উদ্বেগ দেখা দেয়। আপাতত ওই অভিযানের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


অর্থাৎ আরও আট মাস মহাকাশে থাকতে হবে সুনীতা এবং ব্যারিকে। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার ফলে তাঁদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে NASA বিকল্প রাস্তাও খুঁজছে। সুনীতা এবং ব্যারিকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরাতে SpaceX-এর ড্রাগন ক্যাপসুলের সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন: Science News: সারমেয়দের চোখে রঙিন দুনিয়া কি সাদা-কালো? সিনেমা ও বাস্তব ঠিক কতটা আলাদা?