Sunita Williams Homecoming: ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগছে ১৭ ঘণ্টা, সুনীতাদের ফেরাতে বাড়তি সতর্কতা, দেখা যাবে লাইভ সম্প্রচার
Sunita Williams News: সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX-এর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য় নিয়েছে NASA.

নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সাড়ে ন’মাস পর পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে নামা মোটেও সহজ কাজ নয়। গোটা প্রক্রিয়াটি অত্য়ন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তবে আগাগোড়া পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। কারণ পৃথিবীতে সুনীতাদের ফিরে আসার মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. (Sunita Williams Homecoming)
সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX-এর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য় নিয়েছে NASA. সুনীতা, ব্যারি, NASA-র আর এক মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ার ROSCOSMOS-এর নভোশ্চর অলেকজান্ডার গরবুনভকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরছে SpaceX-এর Crew-19 মহাকাশযান। সবমিলিয়ে মোট ১৭ ঘণ্টার যাত্রাপথ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই নিরিখে মঙ্গল-বুধের ভোররাত ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) আমেরিকার ফ্রোরিডার উপকূলে নামবে Crew-19. সরাসরি সেই সম্প্রচার দেখা যাবে NASA-র X হ্যান্ডল https://x.com/NASA-তে। পাশাপাশি, তাদের YouTube চ্যানেল https://www.youtube.com/watch?v=IDYt1l_7UvU-তেও দেখা যাবে। SpaceX-এর X হ্যান্ডলেও https://x.com/SpaceX সম্প্রচার হবে। (Sunita Williams News)
পৃথিবীতে ফিরতে সুনীতাদের ১৭ ঘণ্টা সময় লাগছে কেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির হিসেব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরতে সময় লাগে সবমিলিয়ে তিন ঘণ্টার মতো। গত বছর রাশিয়ার Soyuz তিন নভোশ্চরকে নিয়ে ৩.৫ ঘণ্টায় পৃথিবীতে ফিরে আসে। সুনীতাদের ক্ষেত্রে এত দেরি হওয়া নিয়ে যে যুক্তি সামনে আসছে, তা হল- SpaceX-এর Crew Dragon ক্যাপসুলটি ধাপে ধাপে কক্ষপথ ছাড়বে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ঘণ্টায় ২৮০০০ কিলোমিটার গতিবেগে, ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। কক্ষপথ থেকে তাই ধীর গতিতে বেরোতে হবে Crew Dragon ক্যাপসুলটিকে। নির্দিষ্ট জায়গায় অবতরণের আগে ট্রাঙ্ক থেকে পৃথক হতে হবে। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে যাতে বিপদ না বাধে, তাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই প্যারাশুট ব্যবহার করা হবে মহাকাশচারীদের নিরাপদে অবতরণ করাতে। পাশাপাশি, এই মুহূর্তে আমেরিকায় টর্নেডোর দরুণ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। তাই হাতে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে Crew Dragon ক্যাপসুলটি। রাশিয়ার ক্ষেত্রে যাত্রাপথ সোজা হলেও, SpaceX-এর ক্ষেত্রে অনেক ঘুরে আসতে হচ্ছে।
এদিন প্রথমে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে আলাদা হয় Crew-19 মহাকাশযানটি। দ্বিতীয় ধাপে মহাকাশযানের ট্রাঙ্ক এবং ক্যাপসুল পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। ট্রাঙ্কটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। মহাকাশচারীদের নিয়ে নিয়ে পৃথিবী অভিমুখে নামতে শুরু করবে ক্যাপসুলটি। তৃতীয় ধাপে কক্ষপথ ছাড়বে ক্যাপসুলটি। তাতে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। এর পর চতুর্থ ধাপে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে সেটি। এই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর, পঞ্চম ধাপে ক্য়াপসুলটিকে দু'টি প্যারাশুটের সাহায্যে স্থিতিশীল অবস্থায় আনা হবে ক্যাপসুলটিকে। ষষ্ঠ ধাপে ফ্লোরিডা উপকূলে, আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করবে।
তবে আটলান্টিক মহাসাগরে নামলেই হল না, সেখান থেকে সুনীতা এবং বাকিদের উদ্ধার করতেও হবে। SpaceX-এর একটি জাহাজ জল থেকে উদ্ধার করবে তাঁদের। তবে পৃথিবীতে অবতরণ করা মাত্রই বাড়ি ফিরতে পারবেন না সুনীতারা। মহাকাশ থেকে রোগ-জীবাণু বয়ে আনার ঝুঁকি থাকায়, বেশ কয়েক দিন কোয়ারান্টিনে রাখা হবে। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা হবে তাঁদের। সুস্থতা প্রমাণিত হলেই বাড়ি ফিরতে পারবেন সকলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
