Sunita Williams Returns to Earth: মহাকাশ থেকে আরও লম্বা হয়ে ফিরলেন সুনীতারা! পৃথিবীর বাইরে গেলে বেড়ে যায় উচ্চতা, কেন জানেন কি?

Astronauts Grow Taller in Space: মঙ্গলবার যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন সুনীতারা, সেই সময় উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না তাঁদের। ছবি: NASA.

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: গিয়েছিলেন আটদিনের অভিযানে। কিন্তু মহাকাশ থেকে ফিরলেন সাড়ে ন'মাস পর। মঙ্গলবার পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস, তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। তাঁদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন NASA-র আর এক মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ার ROSCOSMOS-এর অলেকজান্ডার গরবুনভ। পৃথিবীতে ফিরলেও, আপাতত বাড়ি ফেরা হচ্ছে না তাঁদের। বরং কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার ফলে তাঁদের শরীরেও একাধিক পরিবর্তন ঘটেছে। কী কী পরিবর্রতন ঘটেছে, এখনও তা খোলসা করেনি NASA. তবে মহাকাশে দীর্ঘসময় থাকলে শরীরে যে যে পরিবর্তন ঘটে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। (Sunita Williams Returns to Earth)

Continues below advertisement

মঙ্গলবার যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন সুনীতারা, সেই সময় উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না তাঁদের। দুই দিক থেকে ধরে তুলতে হয় তাঁদের। হাঁটাচলার শক্তি ছিল না, ফলে সটান স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সটান হিউস্টনে NASA-র Johnson Space Center-এ পাঠানো হয় সকলকে, যেখানে আগামী ৪৫ দিন ধরে তাঁদের পুনর্বাসন চলবে। আগে মতো যাতে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারেন, যাতে মানিয়ে নিতে পারেন পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে, তার জন্য চলবে প্রশিক্ষণ। (Astronauts Grow Taller in Space)

কিন্তু মহাকাশে থাকলে শরীরে আর যে পরিবর্তনই ঘটুক, উচ্চতা বাড়ে কী করে? এর উত্তর দিয়েছে NASA-ই। তারা জানিয়েছে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে দীর্ঘদিন থাকলে, শিরদাঁড়ার বিন্যাস ঘটে। পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে শিরদাঁড়া সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে, মহাকাশে তার বালাই থাকে না। ফলে অস্থিসন্ধির মাঝের অংশের প্রসারণ ঘটে। এর ফলে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দুই ইঞ্চি পর্যন্ত বেড়ে যায়। 

তবে এই উচ্চতাবৃদ্ধি সাময়িক। যতদিন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে থাকেন মহাকাশচারীরা, ততদিন পর্যন্তই উচ্চতা বেশি থাকে। পৃথিবীতে ফেরার পর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব আবারও শিরদাঁড়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে চলে আসে। ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের আগের উচ্চতা ফিরে আসে মহাকাশচারীদের। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে মহাকাশচারীদের শরীরে কী কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে গত ৫০ বছর ধরে গবেষণা করছে NASA. তাদের সেই গবেষণা প্রকল্পের নাম Human Research Programme. 

এর পাশাপাশি, দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকলে পেশির ক্ষমতা কমে যায়, ক্ষয় শুরু হয় হাড়ের, কমে সহ্যশক্তি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। পৃথিবীতে মানুষ যে স্বতঃস্ফূর্ত, তৎপর আচরণ করেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে তাও আর থাকে না। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার উপরও প্রভাব পড়ে, হারিয়ে যায় নমনীয়তা। পৃথিবীতে শরীরের যে স্বাভাবিক রক্তচাপ, মহাকাশে তা বজায় থাকে না। বরং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে থাকার ফলে শরীরে উপস্থিত তরল ঊর্ধ্বমুখে সঞ্চালিত হয়। এর ফলে মুখ ফুলে যায়, সরু হয়ে যায় পা। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ও আগের মতো প্রখর থাকে না। হাত-পা নাড়ানো, ঘাড় ঘোরানোর আগেও ভাবতে হয়। ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেন না শরীরের। 
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola