Ranji Trophy: ইডেনে দাপট বাংলার বোলারদের, মনোজদের সেমিফাইনালের টিকিট সময়ের অপেক্ষা
Ben vs Jha: স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে, ঝাড়খণ্ড ১৬২/৭। বাংলার চেয়ে মাত্র ৭ রানের লিড। হাতে ৩ উইকেট।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তৃতীয় দিনের খেলার শেষে মাটেই তখন স্ট্রেচিং করছেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে, ঝাড়খণ্ড ১৬২/৭। বাংলার (Ben vs Jha) চেয়ে মাত্র ৭ রানের লিড। যেমন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতেই হবে বাংলাকে, ঠিক তেমনই মনোজ তিওয়ারিদের সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। তবু, এই ম্যাচে অলৌকিক কিছু হয়ে যাবে, সেরকম সম্ভাবনা দেখছেন না কেউই। মাঠ ছাড়ার সময় বাংলা তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মলহোত্র বলে গেলেন, 'এই ম্যাচে বাংলার জয় সময়ের অপেক্ষা। কাল প্রথম সেশনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে।' মলহোত্র এই ম্যাচে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। এবং সারাদিন ধরে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি দেখে বাংলার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।
বাংলার ৩২৮ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৬২/৭। মাত্র ৪৮ ওভারে। কার্যত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারলেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্যের ক্রিকেটারেরা। বাংলার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট আকাশ দীপ, আকাশ ঘটক ও বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ আমেদের। যিনি ব্যাট হাতেও বাংলার সর্বোচ্চ স্কোরার। ৮১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের রাশ বাংলার হাতে তুলে দিয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের হয়ে দিনের শেষে অপরাজিত সুপ্রিয় চক্রবর্তী (৫ রান) ও শাহবাজ নাদিম (৪ রান)। তাঁরা ম্যাচ কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই এখন চর্চার বিষয়।
বাংলা শিবিরে পাল্টা ধাক্কা দিয়েছিলেন আর্যমান সেন। কিন্তু ৬৪ রান করে আকাশ দীপের বলে সুদীপ ঘরামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর একমাত্র লড়াই দেখা গেল অনুকূল রায় ও বিরাট সিংহের ব্যাটে। তবে ২৯ বলে ২৯ রান করে শাহবাজ আমেদের বলে বিরাট সিংহ ফিরতেই ম্যাচের দেওয়াল লিখন পড়া যাচ্ছে। যদিও বিরাটের আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। প্রথম স্লিপে ক্যাচ ধরেন মনোজ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। মাঠের আম্পায়ার বিরাটকে আউট দেন। পরে রিপ্লেতে দেখে কারও কারও মনে হয়, প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মনোজের হাতে যাওয়ার আগে বল মাটি ছুঁয়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি সিএবির প্রতিষ্ঠা দিবস। গোটা ক্লাব হাউস জুড়ে সাজো সাজো রব। ফুল, আলো দিয়ে সাজছে ইডেন গার্ডেন্স। বাংলা শিবিরেও যেন উৎসবের ছোঁয়া। এখান থেকে সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। শেষ চারের অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে মনোজ-লক্ষ্মীরতন শুক্লদের।