![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Mohun Bagan: যুবভারতীতেই প্রথম দেশের জার্সিতে নেমেছিলেন, এই মাঠেই ডুরান্ড জয়, ঘোর কাটছেই না আনোয়ারের
Anwar Ali: আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিরুদ্ধে সেই দুই ম্যাচেও আসে জয়। হংকংয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে গোল তো খানইনি আনোয়ার, বরং ভারতের হয়ে প্রথম গোলও করেন তিনি।
![Mohun Bagan: যুবভারতীতেই প্রথম দেশের জার্সিতে নেমেছিলেন, এই মাঠেই ডুরান্ড জয়, ঘোর কাটছেই না আনোয়ারের Anwar Ali is living the dream at Mohun Bagan Super Giants after Durand Cup Win Mohun Bagan: যুবভারতীতেই প্রথম দেশের জার্সিতে নেমেছিলেন, এই মাঠেই ডুরান্ড জয়, ঘোর কাটছেই না আনোয়ারের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/09/06/abb4656e92a01e1442f019e19f3acac91693965293487206_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পাঞ্জাবের (Punjab) ছেলে হলে কী হবে, কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক রয়েছেন আনোয়ার আলির। এই যুবভারতীতেই রয়েছে তাঁর ফুটবল জীবনের একাধিক মধুর স্মৃতি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giants) তরুণ ডিফেন্ডার দেশের মাটিতে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন এই যুবভারতীতেই। সেই ম্যাচে কোনও গোল না খেয়েই মাঠ ছেড়েছিল ভারতীয় দল ও সেই দলের গর্বিত ডিফেন্ডাররা। এএফসি কাপ বাছাই পর্বে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ২-০-য় জয় পেয়েছিল ভারত।
পরের দু’টি ম্যাচেও খেলেন তিনি। আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিরুদ্ধে সেই দুই ম্যাচেও আসে জয়। হংকংয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে গোল তো খানইনি আনোয়ার, বরং ভারতের হয়ে প্রথম গোলও করেন তিনি। দেশের হয়ে প্রথম ছয় ম্যাচেই একটি গোল, এই পরিসংখ্যান গর্ব করার মতোই।
যুবভারতী (Yuva Bharati) নিয়ে তাই তাঁর আবেগ একটু আলাদাই। বলছিলেন, “এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে এই মাঠেই দেশের হয়ে প্রথম গোল করি আমি। তাই এই মাঠে অনেক মধুর স্মৃতি আছে আমার”। এখন সেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনই এখন আনোয়ারের ‘ঘরের মাঠ’। এ মরশুমের আগেই তিনি যোগ দেন দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে। ফলে ক্লাব বলুন বা দেশ, কলকাতার এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামই এখন তাঁর ‘ফুটবল-হোম’।
কলকাতার এই মাঠ ও এই শহরের ফুটবলপ্রেমীদের ভালও বাসেন খুব। “এই স্টেডিয়ামে খেলতে নামলে বিশেষ ধরনের একটা অনুভূতি হয়। কলকাতার ফুটবলই তো অন্য রকমের। এখানকার মানুষ ফুটবলকে এত ভালবাসে! তাই এখানকার মাঠে খেলা মানে অন্য রকমের অনুভতি”, বলেন আনোয়ার। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’ অনুষ্ঠানে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বলেন তিনি।
পাঞ্জাব থেকে উঠে আসা ২২ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সম্প্রতি ভারতীয় দলের রক্ষণে বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন। সন্দেশ ঝিঙ্গনের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ভারতীয় দলের রক্ষণে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্সও দেখান। গত মরশুমে দিল্লি এফসি থেকে লোনে তিনি এফসি গোয়ার হয়ে খেলেন এবং আইএসএলেও নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্স দেখান। দেশের এক নম্বর লিগে এফসি গোয়ার জার্সি গায়ে কুড়িটি ম্যাচ ও সুপার কাপে দু’টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
দেশের সেরা ফুটবল লিগে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ তাঁকে জাতীয় শিবিরে ডেকে নেন এবং নিয়মিত প্রথম এগারোয় খেলানও। গত বছর মে-তে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পরে ভারতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর। মিনার্ভা পাঞ্জাব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা আনোয়ার প্রথম স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও পরের উচ্চতার জন্য এবং দলের প্রয়োজনে কোচেদের পরামর্শে স্টপার হিসেবে খেলতে শুরু করেন। ফলে রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি তাঁর গোল করারও সহজাত দক্ষত রয়েছে। পাসও করেন যথেষ্ট ভাল। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি। জাতীয় অনূর্ধ্ব ২০ দলের হয়ে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে গোলও করেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)