শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সচিনকে কাঁধে তুলে নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিল ভারতীয় দল। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সচিন বলেছেন, “দুজনের কাঁধে চেপে মাঠ ঘুরতে বেশ মজা লেগেছিল। সমর্থকদের দিকে আমরা সবাই হাত নাড়াচ্ছিলাম। দারুণ অনুভূতি হচ্ছিল। আসলে মাঠে হয়তো আমরা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলাম। কিন্তু এই বিশ্বকাপ শুধু আমাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এই ট্রফি ছিল পুরো দেশের।”
Tendulkar on Anxiety: ১০-১২ বছর মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তেন্ডুলকরকে
জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসাবে সচিন বেছে নিয়েছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়কে।
মুম্বই: মাঠে তিনি কিংবদন্তি। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ব্যাটসম্যানদের গ্রহের হেন কোনও রেকর্ড নেই যেটা তাঁর অধরা। সেই সচিন তেন্ডুলকরও স্বীকার করে নিলেন, তাঁকে মানসিক চাপের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছে। যুঝতে হয়েছে উদ্বেগের সঙ্গে।
২৪ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে অনেক সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর ব্যাটের দাপটে ভারতীয় দল পেয়েছে অনেক গৌরবময় জয়। দেশে ও বিদেশের মাঠে বারবার জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট। একটি অনুষ্ঠানে সচিন বলেছেন, 'কত যে বিনিদ্র রজনী কাটাতে হয়েছে। বড় ম্যাচের আগে রাতে ঘুম হতো না। ১০-১২ বছর ধরে মানসিক উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। পরের দিকে এটা মেনে নিয়েছিলাম যে, এই উদ্বেগ আমার প্রস্তুতিরই অঙ্গ।'
জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসাবে সচিন বেছে নিয়েছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়কে। ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ঘরের মাঠ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। সচিন বলেছেন, “ছোটবেলায় কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপ দেখার পর স্বপ্ন তৈরি হয়। সেই স্বপ্ন নিয়ে ছোট থেকে প্রতিদিন বেড়ে উঠেছি। জীবনে অনেক বিশ্বকাপ খেলেছি। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ২ এপ্রিলের রাতে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। নিজের দেশে তাও আবার ঘরের মাঠে এমন স্বপ্ন সফল হওয়া কজনের ভাগ্যে থাকে! ২ এপ্রিলের রাত আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।”