Abhishek Sharma: টি-টোয়েন্টিতে এক বছরেই বিরাট সাফল্য, অভিষেকের পরবর্তী লক্ষ্য সম্পর্কে কী বলছেন লারা?
Lara On Abhishek: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএলে খেলেন অভিষেক শর্মা। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন ব্রায়ান লারা। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথমবার অভিষেককে খুব সামনে থেকে দেখেছিলেন।

জামাইকা: আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্য়াটারদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন অভিষেক শর্মা। এখনও পর্যন্ত কুড়ির ফর্ম্য়াটে সবার আগে রয়েছেন পঞ্জাবের বাঁহাতি এই তরুণ ওপেনার। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও সর্বাধিক রানের মালিক হয়েছেন। প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন ৭ ম্য়াচে ৩০৪ রান করে। তিনটি অর্ধশতরান ঝুলিতে পুরেছিলেন। ডেবিউয়ের এক বছরের মধ্যেই কুড়ির ফর্ম্য়াটে বিশ্বের এক নম্বর ব্য়াটার হয়ে গিয়েছেন অভিষেক। এবার তরুণ ওপেনারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ব্রায়ান লারা।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএলে খেলেন অভিষেক শর্মা। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন ব্রায়ান লারা। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথমবার অভিষেককে খুব সামনে থেকে দেখেছিলেন। সেই স্মৃতি উসকে লারা বলেন, ''আমি অভিষেককে চিনি সানরাইজার্সে থাকার সময় থেকে। হয়ত ৩-৪ বছর আগে। অসাধারণ একজন তরুণ প্লেয়ার। গোটা দলে ওর মত আরও তরুণ প্লেয়ার রয়েছে। তবে অভিষেক স্পেশাল প্লেয়ার। এছাড়া যুবরাজ সিংহের প্রভাব ওর মধ্য়ে রয়েছে। ওর ব্যাট স্পিড, যেভাবে বল হিট করে অভিষেক শুরু থেকে, তা দুর্দান্ত।''
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটেই শুধু নয়, টেস্ট ফর্ম্য়াটেও অভিষেক যেন নিজের যোগ্যতা অর্জন করেন, তাও বলেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। লারা বলছেন, ''দুর্দান্ত একটা ছেলে। টি-টোয়েন্টিতে এত সাফল্যের পরও আমাকে ও ফোন করত। এমনকী ওয়ান ডে ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে কথা বলত। তবে অভিষেক টেস্ট ফর্ম্য়াটে যে কোনওভাবে নিজের জায়গা তৈরি করতে মরিয়া। নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও উন্নত করে তুলেছে অভিষেক। প্রতিটা সময় খেলা নিয়ে আলোচনা। নিজের খেলাকে আরও উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই ওর লক্ষ্য থাকে।''
ফাইনালের ম্য়াচ ছাড়া গোটা এশিয়া কাপেই ব্য়াট হাতে আগুন ঝরিয়েছেন অভিষেক শর্মা। টুর্নামেন্টে তিনটি অর্ধশতরান ও ২০০-র স্ট্রাইক রেটে সর্বাধিক ৩১৪ রান করেছিলেন তিনি। অভিষেকের আগুনে ব্যাটিং ভারতীয় দলকে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপট দেখাতে সাহায্য করে। এই পারফরম্যান্সের জেরে তিনি এশিয়া কাপের সেরা ক্রিকেটার তো হনই, পাশাপাশি পুরুষদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব়্যাঙ্কিংয়ে সর্বকালের সর্বাধিক ৯৩১ রেটিং পয়েন্টও পান। একদিকে যেখানে অভিষেকের ব্যাটিং প্রতিপক্ষ বোলারদের মনোবল ভাঙে, সেখানে বল হাতে কুলদীপের বোলিংও এশিয়া কাপে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাজেহাল করে। মাত্র ৬.২৭ ইকোনমিতে কুলদীপ এশিয়া কাপে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৭টি উইকেট নেন। প্রতিটি ম্য়াচেই তিনি অন্তত একটি উইকেট নেন। অভিষেকের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কুলদীপের বোলিংও ভারতীয় দলকে এশিয়া কাপ জিততে সাহায্য করে। এই দুই তারকাই সেপ্টেম্বরের সেরা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।



















