Rohit Sharma: ''ভেবেছিলাম দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে আছে..''কপিলের শোয়ে কেন এমন বললেন রোহিত?
World Cup 2011: ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর সেই স্বপ্ন ভেঙেছিল। সেই দিনটি আজও ভুলত পারেন না রোহিত শর্মা।
মুম্বই: গোটা দেশ স্বপ্ন দেখেছিল। স্বপ্ন দেখতে আশা জুগিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর দলের ছেলেরা। ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর সেই স্বপ্ন ভেঙেছিল। সেই দিনটি আজও ভুলতে পারেন না রোহিত শর্মা। তাঁর নেতৃত্বেই টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু অজিদের বিরুদ্ধে হারের পর মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছিল ভারত অধিনায়ককে। চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। সেই দিনের পর কেটে গিয়েছে চার মাসের ওপর। এখনও যেন ঘা দগদগে ভীষণ ভাবে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন শোয়ে এসে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা। হিটম্য়ান ভেবেছিলেন যে সেদিনের হারের জন্য় হয়ত দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন, কিন্তু এত ভালবাসা পাবেন, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। সম্প্রতি দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-তে এসে রোহিত বলেন, ''ম্য়াচের আগে আমরা আমদাবাদে অনুশীলন করছিলাম। টানা ১০ ম্য়াচ জয় এসেছিল তার আগে। দারুণ একটা মোমেন্টাম ধরে রেখেছিলাম আমরা। খেলার শুরুতে গিলের আউট হওয়ার পর আমি ও বিরাট মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করি। আমরা আশা করেছিলাম যে একটা বড় স্কোর বোর্ডে তুলে নিতে পারব। চাপ তৈরি করতে পারব দলের ওপর। এটাই উচিত যে কোনও দলের প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে হলে, বড় রান তোলা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল। আমরা তিন উইকেট তুলে নিতে পেরেছিলাম ওদের। কিন্তু সেখান থেকেও রান তাড়া করে ম্য়াচ জিতে গিয়েছিলল অস্ট্রেলিয়া।''
এরপর অর্চনা পূরণ সিংহ মনে করিয়ে দেন রোহিতকে যে, ম্য়াচ হারার পরও রোহিতদের পাশে ছিল গোটা দেশ। এ বিষয়ে মুখ খুলে রোহিত বলেন, ''বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। আর আমরা দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম যে দেশবাসী আমাদের ওপর ভীষণ রেগে আছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে সবাই আমাদের খেলার প্রশংসা করেছে। তাঁরা কতটা উপভোগ করেছে ম্য়াচ, সে বিষয়ে কথা বলেছে।''
উল্লেখ্য, সেদিনের ম্য়াচে ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। নিজের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। তিনি আউট হওয়ার পর রানের গতিও কমে যায়। বিরাট ৫৪, রাহুল ৬৬ রান করেন। ভারত ২৪০ রান বোর্ডে তুলতে পারে। রান তাড়া করতে নেমে ট্রাভিস হেডের শতরান ও লাবুশেনের অর্ধশতরানের ওপর ভর করে ম্য়াচ জিতে যায় অজিরা।