IND vs ENG: ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে লর্ডসেই কি ফিরতে চলেছেন জোফ্রা আর্চার?
Jofra Archer: লাল বলের ক্রিকেটে সম্প্রতি সাসেক্সের হয়ে ১৮ ওভারের স্পেলে ৩২ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এমনকী ব্যাট হাতেও ৩৪ বলে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন।

লর্ডস: বার্মিংহ্যাম টেস্টে হারের পর এবার তৃতীয় টেস্টে আরও শক্তিশালী হয়ে লর্ডসে নামার জন্য বদ্ধপরিকর ইংল্য়ান্ড শিবির। তাই দলে ফিরতে পারেন তারকা পেসার জোফ্রা আর্চার। ইংল্য়ান্ড ক্রিকেট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম আর্চারের প্রত্যাবর্তনের আভাসও দিয়েছেন। প্রায় চার বছর পর জাতীয় দলের টেস্ট ফর্ম্য়াটে ফিরেছেন আর্চার। ভারতের বিরুদ্ধেই ২০২১ সালে শেষবার খেলেছিলেন টেস্টে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন। চলতি সিরিজেও ফিটনেস ইস্যুর জন্য প্রথম দুটো টেস্টে দলে জায়গা হয়নি আর্চারের।
ম্য়াকালাম বলছেন, ''আর্চার মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছে। দারুণ আত্মবিশ্বাসী ও এখন। অবশ্যই টেস্ট দলে অনেক বছর পর ফিরল ও। চোটের জন্য ধারাবাহিক সুযোগও পায়নি। কিন্তু আমরা জানি যে আর্চার কি করতে পারে তা নিয়ে। কিন্তু এবার ওর সামনে সুযোগ এসেছে। আশা করি সামনেই ওকে আমরা দেখতে পাব মাঠে সাদা পোশাকে।''
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসও আর্চারকে নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের পর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ''ও আদৌ লর্ডসে খেলবে কি না তার সিদ্ধান্তটা আমাদের আগামীতে নিতে হবে। সবাই একসঙ্গে রয়েছি। একটা ঐক্যবদ্ধ দল। আর্চার দীর্ঘদিন পর টেস্ট ফর্ম্য়াটে ঢুকেছে। ও দনলের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটিয়েছে। দলের স্বার্থে লর্ডসে আর্চারকে নেওয়া হতেই পারে।''
লাল বলের ক্রিকেটে সম্প্রতি সাসেক্সের হয়ে ১৮ ওভারের স্পেলে ৩২ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এমনকী ব্যাট হাতেও ৩৪ বলে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ বছরের পেসার ২ টো টেস্ট ম্য়াচ খেলে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। অনভিজ্ঞ ইংল্যান্ড বোলিং লাইন আপে আর্চার ঢুকে পড়লে একটু হলেও চাপ বাড়বে ভারতীয় ব্যাটারদের।
বিশ্বরেকর্ড মাল্ডারের
উইয়ান মাল্ডার বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। উল্লেখ্য, তেম্বা বাভুমা জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই সিরিজের অংশ নন, তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে আহত হয়েছিলেন। তাঁর জায়গায় কেশব মহারাজ অধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন, যিনি চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। মহারাজের পরিবর্তে দ্বিতীয় টেস্টে মাল্ডার দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন।
এটি টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরি। প্রথম স্থানে রয়েছেন বীরেন্দ্র সহবাগ, যাঁর বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার খুব কাছে ছিলেন উইয়ান মাল্ডার। সহবাগ ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৭৮ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন, যা প্রথম স্থানে রয়েছে।




















