Euro Cup Updates:ইউরো অভিযানের আগে স্পেন দলে করোনার হানা, আক্রান্ত অধিনায়ক সার্জিও বুস্কেটস
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্পেনের অনূর্ধ্ব ২১ টিম এখন আগামী প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে।
বার্সেলোনা: ইউরো ২০২০-র অভিযানে নামার আট দিন আগে করোনাভাইরাসের-হানা স্পেন দলে। অধিনায়ক সার্জিও বুস্কেটস করোনা আক্রান্ত। দলের বাকিদের কারণ রিপোর্ট এখনও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্পেনের অনূর্ধ্ব ২১ টিম এখন আগামী প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে।
রয়্যাল স্প্যানিস ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এদিন সকালে লা রোজাসে জাতীয় দলের সদস্যদের যে পিসিআর টেস্ট করা হয়েছিল, তাতে সার্জিও বুক্সেটসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দলের বাকি সদস্যদের টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
গভর্নিং বডির নিয়ম অনুসারে, বুক্সেটের সংস্পর্শে যে খেলোয়াড় ও কর্মীরা এসেছিলেন, তাঁদের সবাইকে জাতীয় দলের অন্যান্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্তরে অনুশীলনের যে সূচী রয়েছে, তা অনুসরণ করা হবে। আইসোলেশনে থেকেই অনুশীলন সারবেন ওই খেলোয়াড়রা। ইউরো-র আগে প্রস্তুতি হিসেবে তাঁরা তাঁদের অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। গত মাসে রিয়েল মাদ্রিদের অধিনায়ক সার্জিও রামোস ওই টুর্নামেন্টে স্পেন দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির অ্যায়মেরিক লাপোর্টেকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়। সম্প্রতি সদ্যসমাপ্ত লা লিগা সিজনে বারেবারেই চোট সমস্যায় জর্জরিত হতে হয়েছে রামোসকে। অতীতেও চোটের কারণে বেশ কিছু বড় ম্যাচ থেকে দূরেই থাকতে হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসার বিরুদ্ধে ফার্স্ট-লেগের সেমিফাইনালও।
করোনাভাইরাসের দাপটের কথা মাথায় রেখে ইউরোপের ফুটবলের পরিচালন সংস্থা উয়েফা ইউরো ২০২০-র জন্য বিভিন্ন দলের স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা ২৩ থেকে বাড়িয়ে ২৬ করেছে। করোনা সংক্রমণজনিত কারণে কোনও দলের স্কোয়াডে খেলোয়াড়ের ঘাটতি যাতে না, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।
উয়েফা-র নির্দেশিকা অনুসারে, কোনও একটি ম্যাচের জন্য ম্যাচ শিটে ৩ গোলরক্ষক সহ ২৩ খেলোয়াড়েরই নাম থাকবে। ম্যাচের আগে শারীরিক অক্ষমতার থাকলে গোলরক্ষকও পরিবর্তন করা যাবে।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর কারণে ইতিমধ্যেই এক বছর বিলম্বিত হয়েছে ইউরো ২০২০। শেষপর্যন্ত আগামী ১২ জুন শুরু হচ্ছে ইউরো কাপ। প্রথম ম্যাচে ইতালির মুখোমুখি হবে তুরস্ক। ১২ জুলাই হবে ফাইনাল। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হবে ইউরোপীয় ফুটবলের মহাযুদ্ধের ফাইনাল। এই প্রথম কোনও একটি দেশে টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। এবারের টুর্নামেন্ট হবে মহাদেশের ১১ টি শহরে।